আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ অক্টোবর ২০১৫, সোমবার |

kidarkar

ই-নোটিশ বোর্ড ও ডাটাবেজ টেবিল তৈরি করছে বিএসইসি

BSECশেয়ারবাজার রিপোর্ট: বার্ষিক উদ্ভাবনী ধারণা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের অংশ হিসেবে স্টেকহোল্ডার, প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অবাধ তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ই-নোটিশ বোর্ড তৈরি করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পাশাপাশি বর্তমান ওয়েবসাইটে বিদ্যমান আইন, বিধি-বিধান ও অধ্যাদেশ বিষয়ভিত্তিকভাবে উপস্থাপনের জন্য ডাটাবেইজ টেবিল প্রস্তুত ও প্রয়োজনীয় ফিল্টারিং এর ব্যবস্থা করবে প্রতিষ্ঠানটি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্দেশ অনুযায়ী ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের এ কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে বিএসইসি।  সোমবার (১৯ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সংস্থাটির (বিএসইসি) পক্ষ থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত ১১ অক্টোবর ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের কর্ম পরিকল্পনা প্রস্তুত করার জন্য বিএসইসি-কে চিঠি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

সেবা প্রত্যাশি স্টেকহোল্ডার ভিত্তিক ই-নোটিশ বোর্ড স্থাপনের জন্য নেয়া কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, ই-নোটিশ বোর্ড স্থাপনের জন্য স্টেকহোল্ডার আইডেন্টিফিকেশন ও তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ এর মধ্যে নোটিশ বোর্ডের নকশা (ডিজাইন) সম্পন্ন করা হবে।

ই-নোটিশ বোর্ডে স্টেকহোল্ডারদের জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশ করা হবে। সেখানে স্টেকহোল্ডারদের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে তথ্য সন্নিবেশ থাকবে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নোটিশ বোর্ডে দেয়া তথ্য আর্কাইভে জমা থাকবে। আর এ পরিকল্পনা ১ জানুয়ারি ২০১৬ থেকে ৩০ মার্চ ২০১৬ এর মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। আগামী ৩০ জুন ২০১৬ এর মধ্যে চূড়ান্তভাবে ই-নোটিশ বোর্ডের কার্যক্রম শুরু করা হবে। আর এ কার্যক্রমের জন্য বিএসইসি’র পরিচালক রাজিব আহমেদ, মো: মনছুর রহমান এবং উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিএসইসি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ই-নোটিশ বোর্ডে সমসাময়িক বিষয়ে তথ্যাদি থাকবে তাই সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারগণ বিশেষ করে স্টক এক্সচেঞ্জ, সিডিবিএল, বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, ফান্ড ম্যানেজার, ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি, কাস্টডিয়ান, ট্রাস্টি, লিস্টেড কোম্পানি, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, অডিট ফার্ম, রিসার্চ সংস্থা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীগণ তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্যাদি খুব সহজেই এবং কম সময়ের মধ্যে বোর্ডে দেখতে পাবেন এবং তৎক্ষণাৎ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। আর এর ফলে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি অনেক কমে যাবে।

অপরদিকে, বিএসইসি এর ওয়েবসাইটে সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ, আইন ও বিধি-বিধান বিষয়ভিত্তিকভাবে উপস্থাপন করা হবে। এর জন্য বিদ্যমান আইন সংক্রান্ত স্ট্যাটিক টেবিলকে ডাটাবেজ টেবিলে রুপান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া ৩০ মার্চ ২০১৬ এর মধ্যে আইন, রুলস, রেগুলেশন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফিল্টারকরণ, কোড নির্ধারণ এবং উপযুক্ত তথ্য অনুযায়ী কোড এন্ট্রি করা হবে। আর এ সকল কার্যক্রম আগামী ৩০ জুন ২০১৬ এর মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। আর এ কর্মপরিকল্পনা সম্পাদনের জন্য বিএসইসি’র পরিচালক কুমার দেবনাথ এবং রাজিব আহমেদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিএসইসি এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কমিশনের বর্তমান ওয়েবসাইটে সিকিউরিটিজ আইন, বিধিমালা, প্রবিধানমালা, নোটিফিকেশন, আদেশ, প্রজ্ঞাপন ইত্যাদি ইস্যু তারিখ অনুযায়ী দেয়া আছে। সেগুলিকে ডাটাবেজভিত্তিক ডাইনামিক করা হলে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সেগুলি খুঁজে পাওয়া সহজ হবে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারগণ তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সিকিউরিটিজ আইনসমূহ, বিধিমালা, প্রজ্ঞাপন ইত্যাদি সূত্রসমূহ কমিশনের ওয়েবসাইটে সহজ ফিল্টারিং এর মাধ্যমেই পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিএসইসি’র প্রধান ইনোভেটিভ অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান।

শেয়ারবাজারনিউজ/অ/মু/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.