আজ: মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৭ অক্টোবর ২০১৫, মঙ্গলবার |

kidarkar

শেয়ার কারসাজির মামলায় খালাস পেলেন সাত্তারুজ্জামান

Trybunal_SharebazarNewsশেয়ারবাজার রিপোর্ট: ২০১০ সালে কারসাজি করে বিভিন্ন কোম্পানির প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় (ট্রাইব্যুনাল মামলা নং ৬/১৫) বেকসুর খালাস পেয়েছেন সাত্তারুজ্জামান শামীম।

২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর এ রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় বিচারক বলেন, সাত্তারুজ্জামান শামীমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হল।

ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার পর এই প্রথম কোনো মামলায় আসামি বেকসুর খালাস পেলেন।

এ মামলার প্রধান আসামী ছিলেন গ্রীণ বাংলা কমিউনিকেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রয়াত নবীউল্লাহ নবী। ২০১৩ সালের জুন মাসে নবীউল্লাহ নবী ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। আর মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা পরিচালনা করা যায় না বিধায় তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

তবে সাত্তারুজ্জামান শামীমকে নবীউল্লাহ নবীর সহযোগী হিসেবে মামলায় আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে বিএসইসি। মামলাটিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষে কমিশনের কর্মকর্তা ও পুলিশসহ মোট ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

এ সময় ট্রাইব্যুনালে সাত্তারুজ্জামান শামীম ও তার আইনজীবী এ এস এম আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আইনজীবী মাসুদ রানা খান।

সাত্তারুজ্জামান শামীমের পক্ষে তার আইনজীবী এ এস এম আমিনুল হক শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, সাত্তারুজ্জামান শামীম কোনো ধরনের অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এমনকি পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনেও তাকে নির্দোষ বলে সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তারপরও বিএসইসি তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছিল। কিন্তু আদালতে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণে বিএসইসি ব্যর্থ হয়েছে। তাই আদালত তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, ২০১০ সালে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অভিযোগের ভিত্তিতে বিএসইসির উপ-পরিচালক এ এস এম মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। বিএসইসির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-৩ সরেজমিন তদন্তে নামে। র‌্যাব-৩ এর কয়েকজন সদস্য বিনিয়োগকারী সেজে প্লেসমেন্টে প্রতারণায় নবীউল্লাহ নবী ও সাত্তারুজ্জামান শাহীন নামে দু’জনকে শনাক্ত করেন।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/অ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.