আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৯ নভেম্বর ২০১৫, সোমবার |

kidarkar

হয়রানি বন্ধ ও বৈষম্য দূর না করলে আন্দোলন করবে ব্যবসায়িরা

Vatশেয়ারবাজার রিপোর্ট: আমরা স্বাভাবিক ভাবে সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স দিতে চাই। হয়রানির শিকার করে আর হুমকি ধামকি দিলে ভ্যাট টেক্স পাবেন না। পাশাপাশি কর আরোপে বৈষম্য দূর না করলে আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছেন ব্যবসায়িরা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও এফবিবিসিআই পার্টনারশীপ ডায়লগ অনু্ষ্ঠানে রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান কে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে এমনটিই বলেছেন ব্যবসায়িরা।

ব্যবসায়িরা বলেন, সারা দেশে ভ্যাট আদায়ের নামে রেড এলার্ট দিয়ে ব্যবসায়িদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা ট্যাক্স দিতে চাই কিন্তু হয়রানির স্বীকার হতে চাই না। আমাদের হয়রানি করবেন না।

এনবিআর কর্মকর্তা আমাদের বিভিন্ন সময় ভ্যাট্ আদায়ের সময় ব্যবসায়িরা কিছু বলতে গেলে খারাপ আচরণ করেন। তারা বলেন, আমাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হয়েছে বেশি কথা বললে গ্রেফতার করবো।

যারা নিয়মিত ভ্যাট ট্যাক্স দেয় তাদেরকেই এনবিআর কর্মকর্তারা হয়রানি করেন। আর যারা ট্যাক্স দেয় না তারা হয়রানির স্বীকার হয় না। কারণ তাদের সঙ্গে ওই সব কর্মকর্তাদের মাসিক আতাত রয়েছে। এসব বৈষ্যমমূলক আচরণ বন্ধ করুন। তা না হলে ব্যবসায়িরা যেকোন সময় আন্দোলনে নামবে।

এ সময় ট্যাক্সের পরিমান না বাড়িয়ে রাজস্ব আদায়ের পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় ব্যবসাযিরা।

ব্যবসায়িদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা সব সময়েই ট্যাক্স দিতে চাই। কিন্তু হয়রানি হতে চাই না। অনেক ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যপূর্ন ট্যাক্স নীতি রয়েছে। তা আমরা দেখতে চাই না।ব্যবসায়িদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ট্যাক্স নির্ধারনের আহবান জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়িরা আরও বলেন, সরকার একেক কোম্পানিকে একেক রকম শুল্ক, ট্যাক্স ও ভ্যাট আরোপ করছে। সরকারকে এমন নীতি থেকে সরে আসতে হবে।

এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান মো: নজিবুর রহমান বলেন, সরকার এনবিআর কে রাজস্ব আদায়ের জন্য একটি বড় লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে। তবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এনবিআর এখনও অনেক দুর্বল। তবে এনবিআর আর আগের মতো নেই। এখন আপনারা (ব্যবসায়িরা) নতুন এনবিআরকে দেখতে পাবেন। কারণ ভ্যাট ট্যাক্স আদায়ে কিংবা প্রদানে বিদ্যমান হয়রানি দূর করতে এনবিআর অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, চলমান হয়রানি ও ঘুষ বাণিজ্য দূর করতে এনবিআর জিরো টলারেন্স নীতিতে এগুচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে এনবিআর-কে এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকার কর আদায় করতে হবে। ব্যবসায়িদের সাথে পারস্পরিক সহায়তা অর্থাৎ পার্টনারশিপ ছাড়া এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়। আর দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতে করতে হলেও সরকার ও ব্যবসায়িদেরকে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আপনারা সময়মতো ভ্যাট ট্যাক্স পরিশোধ করুন ব্যবসা করার ক্ষেত্রে এনবিআর আপনাদের সকল সুযোগ সুবিধা দিবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ এর সভাপতিত্বে ডায়লগ অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, এফবিসিসিআইয়ের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিউল ইসলাম, এনবিআরের রাজস্ব নীতির ও ভ্যাট নীতি বিভাগের জৈষ্ঠ কর্মকর্তারা ছাড়াও ব্যবসায়িরা উপস্থিত ছিলেন।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/অ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.