আজ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৫ নভেম্বর ২০১৫, রবিবার |

kidarkar

ভোজ্যতেলের শীর্ষে এমারাল্ড অয়েলের স্পন্দন

spondonশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড (স্পন্দন ব্রান্ড) রাইস ব্রান অয়েল এখন বাজারের অন্যান্য রাইস ব্রান অয়েলের শীর্ষে অবস্থান করছে। অন্যদিকে ধানের কুঁড়া থেকে তৈরি ভোজ্যতেল (রাইস ব্রান অয়েল) স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর চাহিদার সঙ্গে যোগানের সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য ফ্যাক্টরীতে ইতিমেধ্যে নতুন আরেকটি ইউনিট স্থাপন করেছে এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড ।

জানা যায়, দেশে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ টন কুঁড়ার তেল উৎপাদিত হয়। বছরে উৎপাদিত হয় ৯০ হাজার থেকে এক লাখ টন তেল। প্রতিবছর এ তেলের চাহিদা বাড়ছে্ ক্রমশ: বেড়েই চলেছে। বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত ভোজ্যতেলের মধ্যে কুঁড়ার তেলের অবদান সোয়া দুই থেকে আড়াই শতাংশ। আর সয়াবিন ও পাম তেলের চাহিদা ১৪ লাখ টন।
বর্তমানে বেশির ভাগ দোকানেই সয়াবিন ও পাম তেলের পাশাপাশি ধানের কুঁড়ার তেল বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত এক লিটার কুঁড়ার তেলের দাম ১৩০ থেকে ১৪৫ টাকা। আর সয়াবিন তেলের লিটার ১১২ থেকে ১১৭ টাকা। কুঁড়ার তেল উৎপাদনকারীরা বলছেন, এই তেল যেমন স্বাস্থ্যসম্মত, তেমনি সাশ্রয়ীও। এক লিটার সয়াবিন তেলে যে খাবার রান্না করা যায়, তা পৌনে এক লিটার কুঁড়ার তেলেই করা সম্ভব।

ধানের তুষ তুলে ফেললে যে চাল পাওয়া যায় তার ওপর একটি লালচে খোসা থাকে। ওই খোসা-ই কুঁড়া বা রাইস ব্রান। ধান থেকে চাল তৈরি করলে ৭ থেকে ৮ শতাংশ কুঁড়া পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে এমারাল্ড  অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্হাপনা পরিচালক জনাব সৈয়দ হাসিবুল গণি গালিব শেয়ারবাজার নিউজ ডটকমকে জানান, ধানের কুঁড়া থেকে উৎপাদিত স্পন্দন রাইস ব্র্যান অয়েলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের শেষের দিকে নতুন এই ইউনিটটি চালু করা হয়েছে এবং এতে করে প্রতিদিন আরো ২৪ মেঃ টন তেল উৎপাদন করা সম্ভব। এছাড়াও তিনি আরো জানান, নতুন ইউনিটটি চালু করার ফলে এলাকার বেকার যুবকদের কর্ম সংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি আরো জানান, দেশে উৎপাদিত কুঁড়ার অর্ধেকই ভারতে চলে যায়। এ জন্য ভারতের কুঁড়ার তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের অটো-চালকল মালিকদের কাছে অগ্রিম অর্থও প্রদান করে থাকে।
দেশে কুঁড়ার তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় এখন আর কুঁড়া রপ্তানি হয় না। সমস্যা হলো, অটো ও সেমি অটো চালকলগুলো যখন ভালোভাবে চালু থাকে না তখন কুঁড়ার সমস্যা হয়। কিন্তু চালু থাকলে কুঁড়ার সরবরাহও ভালো থাকে।

তিনি বলেন, এমারাল্ড  অয়েল বর্তমানে এই রাইস ব্র্যান অয়েল বোতলজাত করার জন্য নিজস্ব ফ্যাক্টরীতেই পেট বোতল ও জার উৎপাদন করছে, যা পূর্বে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয় করা হতো। এর ফলে উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে এবং তেলের গুণগতমান বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.