আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৫, মঙ্গলবার |

kidarkar

অনুমোদনের অপেক্ষায় জিএসপি’র মূলধন বৃদ্ধি

GSP-Financeশেয়ারবাজার রিপোর্ট: বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন পেলেই পরিশোধিত মূলধণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে জিএসপি ফাইন্যান্স। এর জন্য তাদের চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বার্ষিক সাধারণ সভা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

পরিশোধিত মূলধণ বাড়ানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৪ অর্থবছরের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৫৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড প্রস্তাব করেছে। এ পরিমাণ ডিভিডেন্ড দিতে গিয়ে কোম্পানিকে সর্বশেষ অর্থ বছরের কর পরিশোধের পর অর্জিত মুনাফার পাশাপাশি রিজার্ভে থাকা প্রিমিয়ামের অর্থ এবং আগের বছরের রিটেইনড্ আয় যোগ করতে হয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক চিঠির মাধ্যমে কোম্পানিটিকে শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে অনুমোদন নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। তাই আগামি ২৩ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির ২০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন পেলে কোন আপত্তি ছাড়া মূলধন বাড়ানোর এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে কোম্পানি দাবি করা হয়।

এদিকে ২০১২ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি ওই সালের হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড এবং ২০১৩ সালের হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

কোম্পানি সচিব মিজানুর রহমান এ বিষয়ে শেয়ারবাজারনিউজ ডট কমকে বলেন, ‘যেহেতু আইনি বাধ্য-বাধকতা আছে মার্চের মধ্যে মূলধন বাড়ানোর, তাই আমরা স্টক ডিভিডেন্ড দিয়ে মূলধন বাড়াচ্ছি। আর পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকার কম হওয়াতে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়াও সম্ভব নয়। মূলধন বাড়ানোর এ প্রক্রিয়া আইন অনুযায়ী সম্পন্ন হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হবার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের মূলধন বৃদ্ধি সংক্রান্ত নির্দেশনার কারণে প্রথম বছর মূলধন বাড়ানো সম্ভব হয়নি। পরবর্তিতে রাইট ইস্যুর আবেদনও অনুমোদন না পাওয়ায় স্টক ডিভিডেন্ড দিয়ে মূলধন বাড়ানো ব্যতিত আর কোনো উপায় ছিল না।’

এতে বাজারে এ কোম্পানির শেয়ারের প্রতি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাইটের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের আরো বিনিয়োগ করতে হতো। কিন্তু এখন শেয়ারহোল্ডাররা নতুন বিনিয়োগ ছাড়াই ৫৫ শতাংশ শেয়ার পাচ্ছেন। তাছাড়া আইপিও-তে আমরা যে প্রিমিয়াম নিয়েছি সেটা বিনিয়োগকারীদেরই টাকা। এ টাকা পরিশোধীত মূলধন বাড়ানোর কাজে লাগায় আমাদের শেয়ারহোল্ডাররাই উপকৃত হবেন।’

প্রসঙ্গত, দেশের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিশোধীত মূলধন ১০০ কোটি টাকা করার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ পর্যন্ত সময় বেধে দেয়। কিন্তু ধ্বস পরবর্তী পুঁজিবাজারের মন্দাভাব অব্যাহত থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরবর্তীতেত দুই দফা সময় বাড়িয়ে ২০১৪ সালের ৩১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দেয়। এর মধ্যে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান মূলধন বাড়াতে সক্ষম হলেও রাইট ইস্যুর অনুমোদন না পাওয়ায় একমাত্র জিএসপি ফাইন্যান্স পরিশোধীত মূলধন বাড়াতে পারেনি। তাই শর্ত সাপেক্ষে জিএসপি’র জন্য সময়সীমা ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

 

শেয়ারবাজার/তু/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.