আজ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৯ নভেম্বর ২০১৫, রবিবার |

kidarkar

বোনাস শেয়ার বিক্রিতে ৩ বছর লক-ইন চায় ডিএসই

DSE_BSECশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানি দুই বছরের মধ্যে স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের এ বোনাস শেয়ার বিক্রিতে তিন বছর লক-ইন চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বোনাস শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়াসহ বেশ কিছু কারণে সূচকের ব্যাপক পতন ঘটে। এই সময় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স প্রায় ৫০০ পয়েন্ট কমে যায়। পরিণতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ে।

তাই ডিএসই ট্রেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করে সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির দুই বছরের মধ্যে ঘোষিত বোনাস শেয়ার বিক্রিতে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের তিন বছর লক-ইনসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে ১২ নভেম্বর ১১টি প্রস্তাব দেয়।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, ডিএসই’র পাঠানো প্রস্তাবনা নিয়ে আগামী কমিশন সভায় আলোচনা হবে।

এ বিষয়ে ডিএসই উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যমান আইনে প্রাথমিক গণ-প্রস্তাবের মাধ্যমে সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের স্টক ডিভিডেন্ড থেকে প্রাপ্ত শেয়ার বিক্রিতে কোন বিধি-নিষেধ নেই। আর এ সুযোগে নতুন কোম্পানিগুলোর বছর শেষে দেয়া স্টক ডিভিডেন্ডের শেয়ার বিক্রি করে এসব উদ্যোক্তা ও পরিচালকেরা বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এতে বাজারের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু), ২০০৬ এর ৯ ধারায় বলা হয়েছে, আইপিও’র মাধ্যমে সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে থাকা শেয়ার আগামী তিন বছর লক-ইন থাকবে। কিন্তু বোনাস শেয়ার বিক্রির বিষয়ে আইনে কিছু বলা নেই।

তবে ডিএসই’র প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, আইপিও প্রসপেক্টাস জমা দেয়ার পূর্ববর্তী দুই বছরের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত অন্য কোন সাধারণ ব্যক্তি কোম্পানিটির ন্যুনতম ৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে এবং প্লেসমেন্ট শেয়ারধারীদের প্রাপ্ত বোনাস শেয়ার তিন বছর লক-ইন থাকবে।

জানা যায়, ২০১৫ সালে তালিকাভুক্ত সি এন্ড এ টেক্সটাইল ১১ শতাংশ স্টক, ফারইস্ট নিটিং ১৫ শতাংশ স্টক, ইফাড অটোস ৩০ শতাংশ স্টক, অলিম্পিক এক্সেসরিজ ৭ শতাংশ স্টক, ন্যাশনাল ফিড ১০ শতাংশ স্টক, তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ ৭ শতাংশ স্টক, জাহিন স্পিনিং ১৫ শতাংশ স্টক এবং বুক বিল্ডিং এর মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড পাওয়ার ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

এছাড়া বিএসইসি’র কাছে দেয়া ডিএসই’র প্রস্তাবনায় মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজ এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অনির্ধারিত ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশনিং এর মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত এবং মার্জিন রুলস ১৯৯৯ এর ৩(৫) এর স্থগিতের মেয়াদ ২০২০ পর্যন্ত বাড়াতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা সমন্বয়ের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত বাড়াতে এবং ব্যাংকগুলোর ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজারের সংজ্ঞা সংশোধনের জন্য বিএসইসি-কে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/অ/মু/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.