আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ ডিসেম্বর ২০১৫, শনিবার |

kidarkar

সিরিয়ার সংকট সমাধানের প্রস্তাব পাশ করেছে জাতিসংঘ

united_nations_logoশেয়ারবাজার ডেস্ক: যুদ্ধ কবলিত সিরিয়ার সংকট সমাধানে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব পাশ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল।  নিউইয়র্কে শুক্রবার ১৫টি সদস্য দেশের কাউন্সিলের এক বৈঠকে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়। এতে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।

বিরল ওই সমঝোতা প্রস্তাবে সিরিয়ার সব পক্ষের প্রতি সাধারণ নাগরিকদের প্রতি হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।  সেইসাথে জানুয়ারিতে সবপক্ষকে নিয়ে শান্তি আলোচনা শুরুর কথাও বলা হয়েছে প্রস্তাবে।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সিরিয়া যুদ্ধের পাঁচ বছর অতিবাহিত হতে চললো। যেখানে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ স্থানান্তরিত হয়েছে। আঠারো মাসের মধ্যে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, যার মাধ্যমে সেদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার মধ্যে সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ভবিষ্যৎ কি হবে, তা পরিষ্কার নয়।

এ বিষয়ে আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি জানান, এই প্রস্তাব কার্যকর হলে সন্ত্রাসীরা আর সুযোগ নিতে পারবে না এবং রাজনৈতিকভাবেই সিরিয়ায় পরিবর্তন হবে।

এই শান্তি প্রক্রিয়ায় ইসলামিক স্টেট বা তাদের সহযোগী কোন দল অংশ নিতে পারবে না বলেও জানানো হয়। সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ সপ্তাহের মধ্যেই তার সরকার শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুতি নেবে। কিন্তু বিরোধী দলের পক্ষে কে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আসবে, সেটি তারা আগে জানতে চায়। সেই সাথে প্রেসিডেন্ট আসাদের ভবিষ্যতের বিষয়ে বিশ্বনেতাদের কিছু বলার থাকতে পারেনা বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের দাবি, শান্তি প্রক্রিয়ার এক পর্যায়ে বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরে দাড়াতে হবে।  এছাড়া এই যুদ্ধবিরতি বন্ধের প্রক্রিয়ায় কোন সশস্ত্র বাহিনীর পতন ঘটবে তারও কোন মতৈক্য আসেনি।

শেয়ারবাজারনিউজ/অ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.