আইপিওতে কোটা কমানোর প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা কমানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয়ের সামনে কয়েকশ’ বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণে প্রায় দেড় ঘন্টা যাবৎ এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সমাবেশে তারা বলেন, প্রস্তাবিত পাবলিক ইস্যু রুলে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য মাত্র ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বাকি ৭০ শতাংশ কোটা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য রাখা হয়েছে। আগে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত ছিল। এখন এটি প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। কেননা আইপিওর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কিছুটা লাভবান হয়ে কোনোভাবে সংসার চালিয়ে আসছেন। কিন্তু কোটা সংরক্ষণ সুবিধা কমিয়ে দেওয়ার কারণে পূর্বের মতো পথে বসতে হবে আমাদের।
বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করে বলেন, আইপিওর শেয়ার হাতিয়ে নেওয়ার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বলি হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এরই অংশ হিসেবে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কোটা ৫০:৫০ সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এ সময় ২০০৬ সালের আইন অনুযায়ী আইপিওতে পূর্বের মতো কোটা ব্যবস্থা সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
উল্লেখ্য, ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস-২০১৫ এর খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। খসড়া প্রস্তাবে আইপিওতে প্রিমিয়ামের জন্য বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এবং অভিহিত মূল্যের জন্য ফিক্সড প্রাইস মেথডে আবেদনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭০ শতাংশ এবং ফিক্সড প্রাইস মেথডে ৫০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের সুপারিশ করা হয়েছে। আর জনমত যাচাইয়ে পাবলিক ইস্যু রুলের খসড়া প্রস্তাব বিএসইসির ওয়েবাসইটে প্রকাশ করা হয়েছে। রুলের বিষয়ে মতামত দেওয়ার শেষ দিন ২৩ ডিসেম্বর বুধবার। মতামত দেওয়ার শেষ দিনে বিএসইসির সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
শেয়ারবাজারনিউজ/অ