আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ জানুয়ারী ২০১৬, বুধবার |

kidarkar

কার্যকর হচ্ছে না নতুন আইন: পুরনো নিয়মেই আসছে আইপিও

BSECশেয়ারবাজার রিপোর্ট: গেজেট প্রকাশ হওয়া সত্বেও সহসাই কার্যকর হচ্ছে না পাবলিক ইস্যু রুলস,২০১৫। নতুন এ আইন গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার পর তালিকাভুক্তির অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা কোম্পানিগুলো নানা বিভ্রান্তিতে পড়েছে। এসব কোম্পানি পুরনো পাবলিক ইস্যু রুলস,২০০৬ এর নিয়মে প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) কার্যক্রম সম্পাদন করে। নতুন এ আইন প্রণয়নের ফলে কোম্পানিগুলো পুনরায় আবেদন করবে কিনা এ নিয়ে তাদের মধ্যে জটিলতা দেখা দিয়েছে ।

আর এই জটিলতা দূর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে জানান, যেসব কোম্পানি আইপিওর জন্য ইতিমধ্যে সব ধরণের কমপ্লায়েন্স পূরণ করেছে তারা আগের পাবলিক ইস্যু রুলস,২০০৬ অনুযায়ী বাজারে তালিকাভুক্ত হবে। অর্থাৎ এগুলোর ক্ষেত্রে নতুন আইন প্রযোজ্য হবে না। তবে এখন থেকে যারা আইপিওর অনুমোদনের জন্য আবেদন করবে তাদেরকে নতুন আইন অনুযায়ী আসতে হবে। এছাড়া যারা ২০০৬ অনুযায়ী কাগজপত্র তৈরি করে জমা দিয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও পুরোনো আইন বলবৎ থাকবে বলে জানান সাইফুর রহমান।

এদিকে বিএসইসির ভাষ্য অনুযায়ী বলা যায়, সহসাই পাবলিক ইস্যুর নতুন আইন কার্যকর হচ্ছে না। কারণ বিএসইসি প্রতি মাসে গড়ে দুটি কোম্পানিকে আইপিওর অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে পুরনো নিয়মে আইপিওর সব কার্যক্রম শেষ করে বিএসইসির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে এমন কোম্পানির সংখ্যা অর্ধ শতাধিক। সে অনুযায়ী এসব কোম্পানিকে পুরনো নিয়মেই আইপিওর অনুমোদন দেয়া শেষ করতে বিএসইসির সময় লাগবে নূন্যতম দুই বছর। যদি তাড়াহুড়া করে বেশি বেশি আইপিওর অনুমোদন বিএসইসি দেয় তাহলে বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হবে। আর বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হোক এমনটা কখনোই বিএসইসি চাইবে না। আবার যদি নতুন আইনে এখন থেকে কোনো কোম্পানি আইপিওর আবেদন করার পর তাদের অনুমোদন আগে দেয়া হয় তাহলে পরবর্তীতে নতুন-পুরাতন উভয় আইন নিয়ে বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়তে হবে। তাই সহসাই পাবলিক ইস্যুর নতুন আইন কার্যকর হচ্ছে না এটা সহজেই অনুমেয়।

এদিকে পুরাতন নিয়মে তালিকাভুক্তির পাইপলাইনে রয়েছে অর্ধ শতাধিক কোম্পানি। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো: এনার্জি প্রিমা লিমিটেড,এলএসআই ইন্ডাস্ট্রিজ,ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড,কেয়া কটন মিলস,সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স,এমপি স্পিনিং মিলস,সানফ্লাওয়ার ইন্স্যুরেন্স,এসেনশিয়াল ড্রাগস,বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড,মেট্রোসেম সিমেন্ট লিমিটেড,আমান কটন ফেব্রিক্স, নাভানা রিয়েল এস্টেট, অ্যালায়েন্স হোল্ডিংস, কেওয়াইসিআর কয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ, সামিট শিপিং লিমিটেড, পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ, এভিয়েন্স ইন্স্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, গ্যালাক্সি সোয়েটার অ্যান্ড ইয়ার্ন ডায়িং, আইএফসিও গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইলস, করিম স্পিনিং মিলস, লিডস করপোরেশনস, মদিনা সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ, মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স, পলি ম্যানুফ্যাকচারিং, মিমকো জুট মিলস, ন্যাশনাল ফাইন্যান্স, অটবি, প্যাসিফিক ডেনিমস, ভিএফএস থ্রেট ডাইং, মারহাবা স্পিনিং, খান ব্রাদার্স স্পিনিং, আমরা নেটওয়ার্কস,সুপ্রিম সিড, আফতাব হ্যাচারি, রানার অটোমোবাইলস, সামসুল আল-আমিন রিয়েল এস্টেট, অ্যালায়েন্স হোল্ডিংস, আমান সিমেন্ট, এএনডি টেলিকম,  বেঙ্গল পলি অ্যান্ড পেপার স্যাক, অ্যারিয়ান কেমিকেল, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, অানন্দ শিপইয়ার্ড, এ্যাপোলো ইস্পাতের রাণী মার্কা ঢেউটিন, আশরাফি গ্রুপের সহ সহযোগী প্রতিষ্ঠান আলফিস লিমিটেড।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

উত্তর দিয়ে যান Anonymous মতামত বাতিল করুন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.