বিশ্বে কোয়ান্টাম প্রযুক্তির দ্বিতীয় কোম্পানি হবে জিপিএইচ ইস্পাত
শেয়ারবার রিপোর্ট: উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে কোয়ান্টাম নামক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করবে দেশীয় স্টীল প্লান্ট জিপিএইচ ইস্পাত। রড প্রস্তুতে এ প্রযুক্তির দ্বিতীয় ব্যবহারকারী হিসেবে বিবেচিত হবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা জানান কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এসময় কোম্পানির চেয়ারম্যান আলমগীর কবির এবং পরিচালক আব্দুর রওফ, আশরাফুজ্জামান ও আব্দুল আহাদ উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা এই আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রিয়ার প্রাইমেটালস টেকনোলজিসের সঙ্গে চুক্তি সই করবো। এই পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে আমাদের গ্যাস ও বিদ্যুৎ উভয়ই সাশ্রয়ী হবে। কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৯ হাজার লোকের।
তিনি আরও জানান, উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর এই প্রকল্পটির মোট ব্যায় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা দেশি-বিদেশি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে এবং সুদের হার ৫-৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে। আর বাকি অর্থ কোম্পানির নিজস্ব তহবিল, রাইট শেয়ারের মাধ্যমে এবং কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এই নতুন প্রকল্পে উৎপাদন শুরু হলে প্রতি বছর প্রায় ২৫০ কোটি টাকা সরকারি তহবিলে জমা দিতে পারবো। এর মধ্যে কর্পোরেট ট্যাক্স ৪০ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজন কর বাবদ ৬০ কোটি টাকা, কাস্টমস ডিউটি ১৪০ কোটি টাকা এবং বাকি ১০ কোটি টাকা বিভিন্ন পোর্টের চার্জ হিসেবে দেওয়া হবে।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, বর্তমানে জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের কারখানায় ১ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন এমএস বিলেট এবং ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন এমএস রড উৎপাদিত হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এমএস বিলেটের বার্ষিক উৎপাদন ৮ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন বেড়ে ১০ লাখ ৮ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়াবে। একইসঙ্গে এমএস রডের বার্ষিক উৎপাদন ৬ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন বেড়ে ৭ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন সম্ভব হবে। অর্থাৎ কোম্পানির বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ৫ গুণ বাড়বে।
শেয়ারবাজারনিউজ/রু