আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ জানুয়ারী ২০১৬, বুধবার |

kidarkar

উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে জিপিএইচ ইস্পাতের চুক্তি

ghpশেয়ারবাজার রিপোর্ট: উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড। ফলে রড তৈরিতে কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ব্যবহারকারী বিশ্বের দ্বিতীয় কোম্পানি হবে এটি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অস্ট্রিয়ার প্রাইমেটালস টেকনোলজিসের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কোম্পানিটি।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে জিপিএইচ ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও প্রাইমেটালসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিনার রোহেল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
এসময় কোম্পানির চেয়ারম্যান আলমগীর কবির এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল, পরিচালক আব্দুর রওফ, আশরাফুজ্জামান ও আব্দুল আহাদ, বিভিন্ন কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আলমগীর কবির বলেন, ইতোমধ্যে আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে চাই। এ জন্য আমাদের সব দিক থেকে উন্নয়ন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, জিপিএইচ ইস্পাত তার প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা রড উৎপাদনের জন্য যে প্রযুক্তি আনছি সেটি দেশের উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রাখবে। আমরা এ প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে একদিকে যেমন দেশের গ্যাস, বিদ্যুৎ কম খরচ হবে। অন্যদিকে তুলনামূলক কম মূল্যে সবার হাতে পৌঁছে দিতে পারবো।
হিনার রোজেল বলেন, আপনারা আমাদের এই টেকনোলজির উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন। এই টেকনোলজি ব্যবহার করার ফলে আপনারা ঠকবেন না। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে জিপিএইচ ইস্পাত অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা এই আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য প্রাইমেটালস টেকনোলজিসের সঙ্গে যে চুক্তি সই করেছি। এই পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে আমাদের গ্যাস ও বিদ্যুৎ উভয়ই সাশ্রয়ী হবে। কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৯ হাজার লোকের।
তিনি আরও জানান, আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর এই প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা দেশি-বিদেশি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে; এর সুদের হার ৫-৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে। আর বাকি অর্থ কোম্পানির নিজস্ব তহবিল, রাইট শেয়ারের মাধ্যমে এবং কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এই নতুন প্রকল্পে উৎপাদন শুরু হলে প্রতি বছর প্রায় ২৫০ কোটি টাকা সরকারি তহবিলে জমা দিতে পারবো। এর মধ্যে কর্পোরেট ট্যাক্স ৪০ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজন কর বাবদ ৬০ কোটি টাকা, কাস্টমস ডিউটি ১৪০ কোটি টাকা এবং বাকি ১০ কোটি টাকা বিভিন্ন পোর্টের চার্জ হিসেবে দেওয়া হবে।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, বর্তমানে জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের কারখানায় ১ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন এমএস বিলেট এবং ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন এমএস রড উৎপাদিত হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এমএস বিলেটের বার্ষিক উৎপাদন ৮ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন বেড়ে ১০ লাখ ৮ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়াবে। একইসঙ্গে এমএস রডের বার্ষিক উৎপাদন ৬ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন বেড়ে ৭ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন সম্ভব হবে। অর্থাৎ কোম্পানির বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ৫ গুণ বাড়বে।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.