আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৬, বুধবার |

kidarkar

ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের ইপিএস ৫৯২ শতাংশ বেড়েছে: যাচাই করবে বিএসইসি

easশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) চলতি হিসাব বছরের অর্ধবার্ষিকে (জুলাই-ডিসেম্বর’১৫) ৫৯২ শতাংশ বেড়েছে। আর এমন খবরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর ১৫২ শতাংশ বেড়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হিসাবে কারসাজি রয়েছে কিনা যাচাই করে দেখবে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সম্প্রতি, ইপিএসে উল্লম্ফন বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাখ্যা ও এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে বিএসইসি’র মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো: সাইফুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, কমিশন ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের ইপিএসে উল্লম্ফনের কারণ জানতে অর্ধবার্ষিকি প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে দেখবে।

এখানে কোন কারসাজি পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিটি ২য় প্রান্তিকের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল দশমিক ২০ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ছিল ৩৫ দশমিক ২৪ টাকা। কিন্তু অর্ধবার্ষিকির শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির মুনাফায় উল্লম্ফন ঘটে। এসময় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ দশমিক ৯৯ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ০৪ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির ইপিএস ৯৫৭ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে অর্ধবার্ষিকিতে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০ দশমিক ৭৯ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ দশমিক ৫৬ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির ইপিএস ৫৯২ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু আলোচিত অর্ধবার্ষিকিতে এনওসিএফপিএস হয়েছে (০.৭১) টাকা।

এ প্রসঙ্গে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, কয়েকটি কোম্পানির সাথে আমাদের পণ্য বিক্রির চুক্তি হয়েছে। তাই অর্ধবার্ষিকিতে আমাদের পণ্য বিক্রয় বেড়েছে। যার প্রভাব ইপিএসে এসেছে।

মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হওয়া সত্ত্বেও এ তথ্য জানানো হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমাদের এ চুক্তি কয়েক বছর আগে করা। সেসময় আমরা বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছি। এমনকি গত এজিএমেও এ বিষয়ে আমাদের শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করা হয়েছে।

এদিকে ইপিএসে এমন উল্লম্ফনের খবরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৫২ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩০০ টাকা। পরের প্রত্যেক কার্যদিবস কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮-৯ শতাংশ হারে বেড়েছে। আর এতে গত ১২ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার ৭৫৫ দশমিক ৯০ টাকা হয়েছে। তবে বিএসইসি’র তদন্তের সিদ্ধান্তের খবরে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে সর্বশেষ ৬৯৯ দশমিক ৩০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

উল্লেখ্য, এক কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানির ৫১ শতাংশ শেয়ার সরকারের কাছে, ৩০ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে এবং ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে। এছাড়া গত ছয় বছর ধরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ করে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়ে আসছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/অ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.