যে কারণে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ঘোষিত ডিভিডেন্ড পরিশোধ করতে পারেনি কাগজ ও মুদ্রণ খাতের খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। এতে লিস্টিং রেগুলেশন, ২০১৫ পরিপালন না হওয়ায় কোম্পানিটিকে ‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তাই মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকারকে এ কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে মার্জিন সুবিধা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ডিএসই। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, কোম্পানিটি ৩০ জুন, ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। যা টাকার অঙ্কে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ ডিভিডেন্ড কোম্পানিটির শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। গত ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখে বার্ষিক সাধারন সভায় (এজিএম) বিনিয়োগকারীরা ঘোষিত ডিভিডেন্ডের অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু এজিএম সম্পন্ন হওয়ার পর প্রায় ৩০ কার্যদিবস পেরিয়ে গেলেও এখনও ডিভিডেন্ডের টাকা বিতরণ করতে পারেনি।
অথচ ডিএসই লিস্টিং রেগুলেশনের ২৯ ধারায় বলা হয়েছে ডিভিডেন্ড পরিশোধ সংক্রান্ত কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন সাত দিনের মধ্যে ডিএসই এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) জমা দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে কোম্পানির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিভিডেন্ড বিতরণ করা যায়নি।
টাকা না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণে বর্তমানে আমরা কিছুটা আর্থিক সঙ্কটে রয়েছি।
তবে এ প্রসঙ্গে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আমজাদ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ডিএসই’র এক শীর্ষ কর্মকর্তা শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিভিডেন্ড বিতরণ সম্পন্ন না হওয়ায় লিস্টিং রেগুলেশন অনুযায়ী কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামানো হয়েছে। তবে এজিএম সম্পন্ন হওয়ার পর ডিভিডেন্ড বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ৬৭ দিন সময় পায়। এর মধ্যে ডিভিডেন্ড বিতরণ সম্পন্ন করে আমাদের চিঠি দিলেই কোম্পানিটি আবার ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আসবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ার বর্তমানে ১২ দশমিক ৬০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। ৭৩ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানির ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে, ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে এবং ৪৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ার সাধারন বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/অ/মু