সংকট কাটিয়ে সম্ভাবনার দিকে জেমিনি সী ফুড
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির জেমিনি সী ফুডের শেয়ার ক্রয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। প্রথম প্রান্তিকের চমকপ্রদ ইপিএস,কোম্পানির সন্তোষজনক ভবিষ্যত ও পুঁজিবাজারে মৌলভিত্তির তালিকায় উঠে আসায় এ কোম্পানির প্রতি ক্রমেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। যার কারণে এ কোম্পানির শেয়ার দরে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ৮ মার্চ এ কোম্পানির শেয়ার দর ৩.২৩ শতাংশ বা ১৯.৭০ টাকা বেড়ে ৬৩০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কারণে দীর্ঘ ৩০ কার্যদিবস মার্জিন ঋণ বন্ধ ছিল। যা আজ থেকে মার্জিন ঋণ চালু হয়। অর্থাৎ মার্জিন ঋণের বিনিয়োগকারীরাও এ কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করতে পারছেন।
এদিকে কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে চমকপ্রদ ইপিএসের কারণে জানতে চাইলে কোম্পানির দায়িত্বরত একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে জানান, জেমিনি সী ফুডের বেশকিছু ব্যবসায়িক এবং অভ্যন্তরীণ সঙ্কট ছিল। যা কাটিয়ে উঠেছে। কোম্পানির গত বছরের ব্যবসায় অস্বাভাবিক সাফল্য এসেছে। বিশেষ করে কাকড়ার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ পণ্য দিয়ে কোম্পানিটি ভালো মুনাফা করেছে। এছাড়া পুরাতন বড় বড় ক্রেতারা সক্রিয় হয়েছে। তাই আমাদের পণ্য বিক্রি বেড়েছে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, সেপ্টেম্বর ক্লোজিং এ কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের (অক্টোবর’১৫-ডিসেম্বর’১৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ৯৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮.৫৪ টাকা। অথচ এর আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা লোকসান করেছিল। এসময় শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ১.৫৯ টাকা। আলোচিত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির রেভেনিউ ২০৩ শতাংশ এবং গ্রস প্রফিট ১৭১ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে প্রথম প্রান্তিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির রিটেইন আর্নিংয়ে লোকসান আগের বছরের তুলনায় ৬২১ শতাংশ কমে যাওয়ায় ইক্যুইটি ৩৮৫ শতাংশ বেড়েছে। তাই এর শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সমাপ্ত হিসাব বছরের এনএভি’র তুলনায় ৩৮৫ শতাংশ বেড়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা