অ্যালায়েন্স সিকিউরিটিজ পরিচালকের বিরুদ্ধে অর্থ-পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে দুদক
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: অ্যালায়েন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের পরিচালক মাধব চন্দ্র দাশের’র বিরুদ্ধে বিপুল অর্থ-পাচারের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্প্রতি এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে, যার তথ্য সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, মাধব চন্দ্র দে এবং আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগের তদন্তে নেমেছে দুদক। অভিযোগ অনুযায়ী সিকিউরিটি হাউজের এ পরিচালক আরও পাঁচ সহযোগীসহ শেয়ারবাজার থেকে লেনদেন করা অর্থের মধ্যে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩৬ হাজার ৩২ হুন্ডির মাধ্যেমে বিদেশে পাচার করেছে। অভিযুক্ত অন্যরা হচ্ছেন মাধবী রানী দাস, নারায়ন চন্দ্র দাশ, লোকনাথ সিংহ রায়, লক্ষন কুমার সাহা এবং সঞ্জয় কুমার সাহা।
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারী ইস্যু হওয়া চিঠিতে দুদক অভিযুক্ত ছয় ব্যাক্তির বিও (বেনিফিশিয়ারী ওনার) অ্যাকাউন্টের মাধ্যেমে লেনদেন হওয়া শেয়ার ও অর্থের হিসাব জানতে চায়। অভিযুক্ত অঙ্কের টাকা পরিচালক হিসেবে মাধব চন্দ্র দাশ অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। জানা যায়, অভিযুক্তরা বিও অ্যাকাউন্টে লেনদেন হওয়া অর্থ তাঁদের আয়কর রিটার্নে উল্লেখ না করেই রিটার্ন জমা দেয়। এ থেকেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং দুদকের সন্দেহের তালিকায় পড়ে তারা। এর বিপরীতে তদন্তের স্বার্থেই বিএসইসি থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে দুদক।
এ প্রসঙ্গে মাধব চন্দ্র দাশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার এবং আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, অ্যালায়েন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের মালিকানা নিয়ে চেয়ারম্যান পঙ্কজ রায়ের সাথে মাধব চন্দ্র দাশ এবং বাকি দুই পরিচালক তপন কুমার পোদ্দার ও পার্থ প্রতীম দাশের দ্বন্দ্ব চলছিল। এর মধ্যে একটি মামলায় সম্প্রতি তপন কুমার পোদ্দারকে অবৈধ পরিচালক হিসেবে রায় দেন আদালত। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সে সময় বাকি তিন পরিচালক বিভিন্ন অনৈতিক কাজে সিকিউরিটিজ হাউজটিকে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন।
শেয়ারবাজারনিউজ/ওহ/আহা