আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৫, বুধবার |

kidarkar

সুইস শাখার একাউন্ট নিয়ে বিতর্কে এইচএসবিসি’র প্রধান

HSBC-good3-620x310শেয়ারবাজার ডেস্ক: সুইস ব্যাংকে একাউন্ট খুলে রহস্যজনক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে স্বয়ং এইচএসবিসি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী স্টুয়ার্ট গালিভারের বিরুদ্ধে। এইচএসবিসি ব্যাংকের মাধ্যেমে কর ফাঁকি  দিতে সাহায্য করার অভিযোগ ওঠার ঠিক এক সপ্তাহের মধ্যেই এ অভিযোগ উঠে এলো। গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পর এইচএস বিসি’র পক্ষ থেকে ব্যপারটি নিশ্চিত করা হয়।

গার্ডিয়ানের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গালিভারের ওই একাউন্টের মোট সম্পদের পরিমান প্রায় ৫ মিলিয়ন পাউন্ড। বোনাসে প্রাপ্ত অর্থ রাখার জন্য এ একাউন্টটি ব্যাবহার করা হয় বলে নিশ্চিত করা হয়। আর এটি পরিচালিত হয় একটি বেনামি কোম্পানির মাধ্যেমে।

এইচএসবিসি ব্যাংকের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, একাউন্টটি গালিভারের এবং তিনি সকল কর ঠিকমতো পরিশোধ করে আসছেন। এছাড়াও, তিনি হংকংয়ের অধিবাসী তাই কর পরিশোধ করায় তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ নেই। গার্ডিয়ানের পক্ষ থেকেও কোনো ধরনের অভিযোগ গালিভারের বিরুদ্ধে করা হয়নি।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এইচএসবিসি ব্যাংকের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি কেলেঙ্কারির তথ্য ফাস হওয়ায় এ ধরনের তথ্য গালিভারের ভাবমূর্তিতে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে গার্ডিয়ানে গালিভারের আইনজীবীদের উদ্ধৃত করে বলা হয়, ২০০৩ সালে হংকংয়ে আসার আগে পর্যন্ত এই একাউন্টটিই ব্যাবহার করতেন গালিভার। এন পাশাপাশি ব্যাংকের একজন মুখপাত্রও বলছেন, যেহেতু গালিভার হংকংয়ের নাগরিক, তাই বিষয়টি সেখানকারই।

এইচএসবিসি’র পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়, গালিভার হংকং ও যুক্তরাজ্যের সকল প্রকার কর পরিশোধ করেন। তাই বোনাসের অর্থ অন্য কোনো একাউন্টে রাখা অপরাধের কিছু না। ১৯৯৮ সালে হংকংয়ে অবস্থান করার সময় এ একাউন্টটি খুলেন তিনি।

এদিকে প্রধান নির্বাহীর বিষয়ে এমন দিনে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো, যেদিন এইচএসবিসি নিজেদের বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনী নাগরিকদের কর ফাঁকি দিতে এইচএসবিসির সুইস শাখা সহায়তা করে— এমন অভিযোগ প্রকাশ হওয়ার পর গত সপ্তাহে গালিভার ব্যাংকের পক্ষ থেকে ‘ক্ষমা’ চেয়ে খোলা চিঠি লেখেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘২০০৮ সাল থেকে আমাদের সুইস প্রাইভেট ব্যাংকটি পুরোপুরি ঢেলে সাজানো হয়েছে। যেসব গ্রাহক কর ফাঁকি দেয় অথবা আর্থিক অপরাধ নিয়ে আমাদের মানদণ্ড মেনে চলে না, তাদের সঙ্গে ব্যবসা করার কোনো অভিপ্রায় নেই আমাদের। সূত্র: বিবিসি।

শেয়ারবাজার/ও

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.