শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের পুঁজিবাজারে ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন তৎকালীন তদন্ত কমিটির সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক এম এ রশীদ খান।
প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগের মামলা তদন্তাধিন ছিল। এমন অবস্থায় শুনানিতে ওই দুইজনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যথাসময়ে সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত না হওয়ার কারণে পুঁজিবাজারের বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক হুমায়ূন কবীর রোববার ২০ মার্চ এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে গত বছরের ২৬ জুলাই এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার সময় আসামিরা সবাই পলাতক ছিলেন। ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করে। আর এ মামলায় সাক্ষ্য দেন রাষ্ট্রপক্ষের বাদী বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক নির্বাহী পরিচালক এমএ রশিদ খান, বিএসইসি’র সাবেক চেয়ারম্যান মনিরউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. রুহুল খালেক, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক জহিরুল হক, অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশের ২১ ধারা মেনে শেয়ার কেলেঙ্কারির তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৯৯৭ সালে মামলা করে বিএসইসি। বিশেষ ট্রাইব্যুনালে যার মামলা নং-২/২০১৫। মামলায় র্যাংগস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের তৎকালীন চেয়ারম্যান এম এ রউফ চৌধুরী, প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মশিউর রহমান, তৎকালীন পরিচালক আনু জাগিরদার ও (বর্তমানে এইচআরসি গ্রুপ ও বেসরকারি ওয়ান ব্যাংকের চেয়ারম্যান) সাঈদ এইচ চৌধুরীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/ওহ