আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ মার্চ ২০১৬, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

যুক্তরাজ্যের সাথে সরাসরি বিমান পরিবহন বন্ধের আশঙ্কা

download (1)শেয়ারবাজার রিপোর্ট: মার্চের পর থেকে দেশের সাথে যুক্তরাজ্যের সরাসরি বিমান পরিবহনও বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিদায়ী চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম সানাউল হক। বৃহস্পতিবার বেবিচকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ থেকে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের পর কিছু শর্ত দিয়েছিলো। ৩১ মার্চের মধ্যে সেসব শর্তপূরণ না করা হলে যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে দেশটি। তাই নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি’। যুক্তরাজ্যের শর্ত পূরন করার জন্যই যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি রেডলাইনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বলে জানান তিনি।

আগামী রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল হকের কাছে বেবিচকের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘গত বছরের ২৫ অক্টোবর থেকে আমরা নিরাপত্তা ইস্যুতে কাজ করছি। নিজেদের উদ্যোগেই আমরা করছি। বিদেশি নিরাপত্তা কোম্পানির কর্মীরা দক্ষ। তারা জানেন, আধুনিক মেশিন কিভাবে যথার্থভাবে চালাতে হয়। আমাদের স্বল্প জনবলের কথা উল্লেখ করে আমরা সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি’। প্রতিদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তার জন্য ৭২০ জন লোকবল প্রয়োজন বলেও জানান এস এম সানাউল হক।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সরকার তাদের ওয়েবসাইটে ‘বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট আপডেট’ শীর্ষক বিজ্ঞপ্তিতে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো বিমান পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পশ্চিমা অন্যান্য দেশগুলোর পক্ষে যুক্তরাজ্যের বিমান নিরাপত্তা বিষয়ক দপ্তর বিশ্বের ২০টি দেশের ৩৮টি বিমানবন্দরের তালিকা তৈরি করেছে। ওই তালিকায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদারে সচেষ্ট হয়েছে বাংলাদেশ।

গত ২০ মার্চ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে যুক্তরাজ্যভিত্তিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান রেডলাইন এভিয়েশন সিকিউরিটি লিমিটেডকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২২ মার্চ থেকে কোম্পানিটি কাজ শুরু করেছে। এতে সরকারের মোট ব্যয় হচ্ছে ৭৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/রু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.