অবশেষে কমল তেলের দাম
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: অবশেষে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হচ্ছে। প্রথমে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম কমানো হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য তেলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তেলের দাম কমানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের জানিয়েছে, ‘সরকার সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম পুনঃনির্ধারনের উদ্যোগ নিয়েছে। এক মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে’।
উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দর বারবার কমানো হলেও দেশের বাজারে দাম কমানো হয়নি। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ ছিল। ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা বারবার দাম কমানোর পরমর্শ দিয়েছেন৷ দেশে না দাম কমায় অতিরিক্ত লাভ করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। সরকার পক্ষে থেকে বলা হচ্ছিল, বিপিসির দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত লোকসান পুষিয়ে নিতেই দাম কামনো হচ্ছে না। তবে এরপরও জ্বালানি তেলের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে গত ৬ জানুয়ারি জ্বালানি উপদেষ্টা এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেন মুহিত ৷
সেখানে তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে আামদের কিছু করণীয় আছে। এটা স্বীকার করতেই হবে ব্যাপক দরপতন হয়েছে।মনে হচ্ছে তেলের দরপতনটি কিছু দিনের জন্য স্থায়ী হবে। এখন বাজার দর নিয়ে চিন্তা করার যথোপযুক্ত সময়।’ দাম কমানোর প্রক্রিয়া হিসেবে অর্থমন্ত্রী জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করতে বলেন। যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিতে আলোচনা হবে বলে জানান। চিঠি পাওয়ার পর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ সংক্রান্ত কার্যেক্রম শুরু করতে জ্বালানি সচিবেকে নির্দেশ দেন।
জানা যায়, বেশি দামে তেল কিনে কম দামে বিক্রি করায় ১৯ বছরে বিপিসির লোকসান দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার কোটি টাকা। তবে গত দুই বছর ধরে লাভ করছে। গত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) বিপিসি পাঁচ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। আর চলতি অর্থবছরে (২০১৫-১৬) ৭ হাজার কোটি টাকা লাভের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যেই অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মুনাফা হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধির কারণে সর্বশেষ ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। তখন পেট্রোল-অকটেন লিটার প্রতি ৫ টাকা এবং ডিজেল কেরোসিনের দাম ৭ টাকা করে বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯, পেট্রোল ৯৬, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/রু/মু