আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিবন্ধিত এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় (নন-লিস্টেড) এমন বিশেষ তহবিলের (অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড, স্পেশাল পারপাস ভিহিকল বা সমজাতীয়) ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তার পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের অধিক বিনিয়োগ করতে পারবে না।
এ ছাড়া একক তহবিলের ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ অথবা প্রস্তাবিত তহবিলের মাধ্যমে সংগৃহীতব্য অর্থের ২০ শতাংশ, এ দুটির মধ্যে যা কম তার অধিক বিনিয়োগ করা যাবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে ৩০ মার্চ বুধবার জারি করা এক সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।
সার্কুলার বলা হয়, এমন তহবিলে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। তবে বিনিয়োগের ঘোষণা (কমিটমেন্ট) দেওয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট তহবিলের যাবতীয় তথ্যাদি এবং বিনিয়োগকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূলধন, তারল্য, সম্পদ ও দায়ের গুণগত মান এবং পরিমাণের সর্বশেষ তথ্য জমা দিতে হবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট তহবিলের ট্রাস্টি এ মর্মে অঙ্গীকার করবে যে, বিনিয়োগ করা তহবিলে বিনিয়োগকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো শেয়ার, ডিবেঞ্চার, বন্ড, অন্য কোনো ইন্সট্রুমেন্টে বা বিনিয়োগকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কযুক্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হবে না।
এ ছাড়া অপর কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর তহবিলের কোনো ধরনের আর্থিক দাবি নেই এবং ভবিষ্যতে এরূপ দাবি সৃষ্টি হতে পারে এমন কোনো বিনিয়োগেও ওই তহবিল ব্যবহার করা হবে না।
এরূপ কোনো তহবিল বা তহবিলসমূহে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ধারা ১৬ এ নির্ধারিত সীমার আওতা বহির্ভূত হবে। শিগগিরই এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ