শেয়ারবাজার রিপোর্ট: অবশেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীর তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরের মাথায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সীমানাপ্রাচীর হচ্ছে। সোমবার সকালে নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ কে খান আইন অনুষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরের ইতিহাসে আজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধনের বিষয়টি ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মুহুর্ত।বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি সম্পদ রক্ষাসহ সামগ্রিকভাবে শিক্ষা ও গবেষণার উন্নত পরিবেশ নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের গুরুত্ব অনুধাবন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ দেশের প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-কানুন সমুন্নত রেখে শিক্ষা ও গবেষণার উন্নত পরিবেশ সৃষ্টিসহ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ সুরক্ষা করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে অঙ্গীকারাবদ্ধ।দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পদ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা করতে হবে।’ উপাচার্য কাজের গুণগত মান বজায় রেখে স্বচ্ছতা, সততা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে যথাসময়ে এ নির্মাণ কাজ সুসম্পন্ন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেন। এর আগে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেইট সংলগ্ন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার দেব, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর, অফিসার সমিতির সভাপতি এ কে এম মাহফুজুল হক খোকন, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জোস মোহাম্মদ, এস্টেট শাখার প্রশাসক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু সাঈদ হোসেন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. কলিম। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভুমি বেদখলে চলে যায়।সীমানাপ্রাচীর হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুমি রক্ষা হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ারবাজারনিউজ/রু/মু