আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ এপ্রিল ২০১৬, শনিবার |

kidarkar

রিজার্ভ ব্যাংক থেকে লোপাট হওয়া সব অর্থই ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

bankশেয়ারবাজার ডেস্ক: নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে লোপাট হওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সব অর্থই ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। আগামী মাসের নির্বাচনে ভোটারদের কাছে ভাবমূর্তি ধরে রাখতে ফিলিপাইনের সিনেট সদস্যরাও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পুরো অর্থ উদ্ধারে রীতিমত মরিয়া হয়ে উঠেছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের ভাবমূর্তি ধরে রাখাও বড় একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর বাইরে আন্তর্জাতিক বড় একটা চাপতো রয়েছেই। অর্থ লোপাটের পর ফিলিপাইন সরকার গত কয়েক দিনে এমন একটা পরিস্থিতির তৈরি করেছে যাতে করে বলা যেতে পারে যে লোপাট হওয়া পুরো অর্থটাই ফেরত পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। খবর ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন ও অন্যান্য সূত্রের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরির টাকা গেছে জুয়ার আসরে, তাই ফেরত আসবে না কোনদিন- শুরুতে এমনটাই আশঙ্কা ছিল। তবে এই আশঙ্কা এখন আর নেই। টাকা সরানোর মূল হোতা ক্যাসিনো ব্যবসায়ী অংক চিকিৎসার নামে সিংগাপুর পাড়ি দিলেও দ্বিতীয়বারের তাগাদায় তড়িগড়ি করে হাজির হন সিনেটের শুনানিতে, আর অঙ্গীকার করেন টাকা ফেরতের। গত মঙ্গলবার সিনেটের পঞ্চম শুনানিতে অভিযুক্তদের দশা ছিল ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’।

ব্যাংক কর্মকর্তা, মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান আর ক্যাসিনো ব্যবসায়ীসহ অভিযুক্তদের সবাই সিনেটের অধিবেশনে নাস্তানাবুদ হয়ে বুঝলেন চুরির এ টাকা হজম করা বোধহয় আর সম্ভব নয়।তাই সবাই এখন টাকা ফেরতের পথ খুঁজছেন।

ম্যানিলায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ এর মতে, বাংলাদেশ থেকে তদন্তে আসা সিআইডি কর্মকর্তারাও বললেন আশার কথা। টাকা চুরিতে আন্তঃদেশীয় এই অপরাধিচক্রকে ধরতে আরও তদন্ত দরকার বলে জানিয়েছেন তারা। রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, প্রয়োজনে আরও একাধিকবার আসতে হতে পারে ম্যানিলায়।

সিআইডি আবদুল্লাহ আল বাকি জানান, তিন সদস্যের সিআইডির দলটি আজ শুক্রবার দেশে ফিরে এলেও ম্যানিলায় কাজ করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের নামে সুইফট (সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন) মেসেজিং সিস্টেমে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে নিউইয়র্ক ফেড থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ১০ কোটি ডলার ফিলিপাইন ও শ্রীলংকার দুটি ব্যাংকে সরানো হয়। বানান ভুলের কারণে শ্রীলংকার দুই কোটি ডলার আটকানো গেলেও ফিলিপাইনে যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলারের অধিকাংশ সেখানকার ক্যাসিনোয় গিয়ে ঢোকে। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের এ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে ফিলিপাইনের সিনেট কমিটি। এরই মধ্যে এক-পঞ্চমাংশ অর্থ উদ্ধার হয়েছে।বাকি অর্থও উদ্ধার হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শেয়ারবাজারনিউজ/মা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.