আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ এপ্রিল ২০১৬, শনিবার |

kidarkar

বিএসইসি-কে বকেয়া মূসক পরিশোধে এনবিআরের নির্দেশ

BSEC_BANGLADESHশেয়ারবাজার রিপোর্ট : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) ২০১০ সাল থেকে বকেয়া মূল্য সংযোজন কর (মূসক) পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে।

২০১০ সালের পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া লাইসেন্স ফি এবং নবায়ন ফি থেকে ১৫ শতাংশ হারে মূসক সংগ্রহ করে বিএসইসি-কে সম্প্রতি এক চিঠির মাধ্যমে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে এনবিআর।

বিএসইসি স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার, অথোরাইজড রিপ্রেসেন্টেটিভ, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, সিকিউরিটি কাস্টডিয়ান, ডিপজিটরি পার্টিসিপেন্ট, ট্রাস্টি এবং ক্রেডিট রেটিং এজেন্সির লাইসেন্স ইস্যু এবং নবায়ন বাবদ নির্দিষ্ট হারে ফি নিচ্ছে।

এনবিআরের চিঠিতে বলা হয়েছে, মূসক অ্যাক্ট-১৯৯১ অনুযায়ী সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান সেবার বিপরীতে অর্থ নিলে তার ওপর ১৫ শতাংশ মূসক প্রযোজ্য হবে।

এ প্রসঙ্গে এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারি সংস্থা, আধা-সরকারি সংস্থা, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং লিমিটেড কোম্পানি যারা নিবন্ধন সনদ, লাইসেন্স, নবায়ন ও অন্যান্য সেবাদানের বিপরীতে গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তাদেরকে প্রাপ্ত অর্থ থেকে ১৫ শতাংশ হারে মূসক দিতে হবে। ২০১১ সালে মূসক আইন-১৯৯১ এর ১৯ ই ধারা অনুযায়ী এ গাইডলাইন জারি করে এনবিআর। আর এ ধারাবলে বিএসইসিকে বকেয়া মূসক পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে এনবিআর।

এদিকে, এ প্রসঙ্গে বিএসইসি’র এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, আইনটি সম্পর্কে বিএসইসি সচেতন ছিল না। তাই বিএসইসি এ খাতে মূসক সংগ্রহ করেনি। তবে এনবিআর এর নির্দেশ অনুযায়ী এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বিএসইসি।

বিএসইসি’র বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন বাবদ ৬ কোটি টাকা আয় করেছে।

এদিকে, আইন অনুযায়ী বিএসইসি মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজ এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কাছ থেকে লাইসেন্স বাবদ যথাক্রমে এক লাখ টাকা, ২০ হাজার টাকা এবং ৩০ হাজার টাকা করে নিচ্ছে। অপরদিকে লাইসেন্স নবায়ন বাবদ প্রতিবছর তাদের কাছ থেকে যথাক্রমে ৫ লাখ টাকা, এক লাখ টাকা এবং ১০ হাজার টাকা করে নিচ্ছে।

বিএসইসি সর্বশেষ ২০১৩-২০১৪ হিসাব বছরে ১১টি স্টক ব্রোকার এবং ১৭টি স্টক ডিলার লাইসেন্স প্রদান করেছে। এসময় ৩৯১টি স্টক ব্রোকার এবং ৩১৯টি স্টক ডিলারের লাইসেন্স নবায়ন করেছে বিএসইসি। এছাড়া আলোচিত সময়ে বিএসইসি একটি মার্চেন্ট ব্যাংক, তিনটি অ্যাসেট ম্যানেজার, চারটি সিকিউরিটিজ কাস্টডিয়ান, ১৪টি ডিপজিটরি পার্টিসিপেন্ট এবং আটটি ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠানকে নতুন লাইসেন্স দিয়েছে। এসময়ে ৩৫১টি ডিপজিটরি পার্টিসিপেন্টোর লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে।

২০১৩-২০১৪ হিসাব বছরে বিএসইসি ৩৭২ জন অথোরাইজড রিপ্রেসেন্টেটিভকে নতুন লাইসেন্স দেয়ার পাশাপাশি ১২৮৩ জন অথোরাইজড রিপ্রেসেন্টেটিভের লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে।

শেয়রবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.