আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ এপ্রিল ২০১৬, শনিবার |

kidarkar

মশাল নিয়ে পর্যালোচনার দাবি

2016_03_13_00_02_09_HIFkHehmp0PKMFfZm3NW5unxPxiZXe_originalশেয়ারবাজার রিপোর্ট: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নির্বাচনী প্রতীক ‘মশাল’ বরাদ্দে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার দাবি জানিয়েছে জাসদের একাংশ। আনুষ্ঠানিক বিভক্তির পর ‘মশাল’ প্রতীক চেয়ে দুই পক্ষ মশাল প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে।জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান শুক্রবার এক বিবৃতি এ দাবি জানান।

জাসদের দুই পক্ষের মশালের দাবি নিয়ে গত ৬ এপ্রিল দুই পক্ষকে শুনানিতে ডাকে নির্বাচনে কমিশন। গত বুধবার হাসানুল হক ইনু ও শিরিন আক্তার গ্রুপকে জাসদের ‘মূল ধারা’ স্বীকৃতি দিয়ে মশাল প্রতীকও তাদের বরাদ্দ দেয় ইসি। বিবৃতিতে মশাল প্রতীক বরাদ্দে কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও পর্যালোচনার দাবি জানিয়েছে শরীফ নূরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক আম্বিয়া নেতৃত্বাধীন অংশ বলেছে, নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত, অসময়োচিত এবং দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়।

জাসদের এ অংশের নেতারা বলেন, ‘শুনানীর সময় নির্বাচন কমিশন বলেছিল যে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের আরো তথ্য-উপাত্ত প্রযোজন হতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষও আরো তথ্য-উপাত্ত দাখিল করতে পারবেন। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যখন তৃতীয় পর্যায়েও উভয় পক্ষকে মশাল প্রতীক ব্যবহার করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সম্মতি প্রদান করেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে, তখন উক্ত নির্বাচনের অবশিষ্ট পর্যায়েও তা বহাল আছে। নির্বাচন কমিশনের আকস্মিক এ সিদ্ধান্ত জাসদকে বিভক্ত করাকেই প্রকারান্তরে এগিয়ে নিয়ে গেছে, যা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না।’

বিবৃতিতে তারা বলেন, গত ১২ মার্চে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের ঘটনাবলীও নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে আমলে নেয়নি। নির্বাচনী অধিবেশন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের কোনো ফলাফলই সিদ্ধান্ত আকারে গৃহীত বলে বিবেচিত হতে পারে না। অথচ শুধুমাত্র একটি প্রস্তাবিত বিষয়কে নির্বাচন কমিশন বড় করে দেখিয়ে মশাল প্রতীক ব্যবহারের জন্য রহস্যজনকভাবে খুবই দ্রুততার সঙ্গে এক অংশকে অনুমতির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন বলে গণমাধ্যম সূত্রে জেনেছি।

শরীফ নূরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বিগত দু’টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন ও মশালকে বহন করেছেন, যাদের মাঝে আমাদের তিনজন এমপি রয়েছেন – তাদের দাবি উপেক্ষা করেছেন। পক্ষান্তরে যারা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সংসদ নির্বাচনে মশাল প্রতীক ব্যবহার করেননি, তাদের পক্ষে রায় দিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট, ন্যায়বিচার পরিপন্থী এবং সংসদীয় রীতিনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে বিষয়টি আবারো ভালোভাবে পর্যালোচনা করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে সিদ্ধান্ত প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি’।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.