পর্যবেক্ষনে জেমিনি সি ফুড
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি নিয়ে খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের কোম্পানি জেমিনি সি ফুডের শেয়ার বিনিময় পর্যবেক্ষন করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এদিকে গত মার্চ মাসেই অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির পেছনে অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল কোনো তথ্য নেই- মর্মে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জবাব দিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে গত ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত কোম্পানিকে ছয়বার শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কারন দর্শানো নোটিশ দিল ডিএসই। যার প্রতিবারেই কোনো অপ্রকাশিত তথ্য নেই বলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানায়।
জেমিনি সি ফুডের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির বিষয়ে বিএসইসি’র মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো: সাইফুর রহমান বলেন, ‘জেমিনি সি ফুডের দর বৃদ্ধির বিষয়টি কমিশনের বিবেচনায় আছে। এর কারন অনুসন্ধানের কাজ চলছে। এর আগে একবার কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর বৃদ্ধি নিয়ে অনুসন্ধান হয়েছিল। এনফোর্সমেন্টে এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। কোম্পানির এ ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।
এদিকে কিছুদিন পরপরই অস্বাবিকভাবে দর বাড়লেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে দৃশ্যত কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। শুধুমাত্র কারন দর্শানো নোটিশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল ডিএসই’র ভূমিকা্র। সাধারন বিনিয়োগকারীদের হাতে মোট শেয়ারের মাত্র ১৯.৩০ শতাংশ হওয়ায় কারসাজি হওয়ার আশঙ্কা করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৫ সালের শেষদিকে এসে কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। এরপর কিছুদিন কোম্পানির শেয়ারদরে লাগাম থাকলেও পরের মাস থেকেই চিত্র পাল্টে যায়। চলতি ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি ৩২৩ টাকায় লেনদেন শেষ হবার পর থেকেই কোম্পানির শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করে। সর্বশেষ গতকাল রোববার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানির শেয়ারদর ২.৮০ শতাংশ বা ২৪.৮০ টাকা বেড়ে ৯১১ টাকায় লেনদেন হয়।
কোম্পানির সর্বশেষ প্রথম প্রান্তিকের (অক্টোবর’১৫- ডিসেম্বর’১৫) আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ি, শেয়ার প্রতি আয়ে (ইপিএস) উল্লম্ফন হয়েছে। এসময় কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৮.৫৪ টাকা যা আগের বছরের একই সময়ে ১.৫৯ টাকা লোকসানে ছিল। এসময় কর পরিশোধের পর কোম্পানির মুনাফা হয়েছে ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। গত মার্চ মাসে কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন হয়। এ রেটিংয়ে কোম্পানি দীর্ঘ-মেয়াদে ‘বিবিবি’ এবং সল্প মেয়াদে ‘এসটি-৩’ মান পেয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/ওহ/আহা