আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ এপ্রিল ২০১৬, শনিবার |

kidarkar

১০ কোম্পানির প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ

Arthik Protibadon Report

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে মোট ১০টি কোম্পানির প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬টি কোম্পানি প্রথম প্রান্তিকের এবং ৪টি কোম্পানি তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকার করা কোম্পানিগুলো হল: হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, বার্জার পেইন্টস, গ্রামীণ ফোন, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স এবং ট্রাস্ট ব্যাংক। অন্যদিকে তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, উসমানিয়া গ্লাস, সিমটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ এবং অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেড।

এর মধ্যে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স ছাড়া সব কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে এবং সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার প্রতি লোকসান কমেছে।

হাইডেলবার্গ সিমেন্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ ২০১৬) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০.৩০ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৮.৭১ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ১.৫৯ টাকা।

এ সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ১১২.৫৮ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২১.০৩ টাকা।

বার্জার পেইন্টস: প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত (জানুয়ারি- মার্চ’১৬) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রথম প্রান্তিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বার্জার পেইন্টসের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৬.৪১ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল  ১৮.১৬ টাকা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী গত এক বছরের ব্যবধানে এ কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ৮.২৫ টাকা বা ৪৫.৪৩ শতাংশ।

এদিকে প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কার্যকারী নগদ প্রবাহের পরিমাণ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ২৮.৬৮ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১০.২২ টাকা। এ প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১২.৮৩ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ অনুযায়ী এনএভিপিএস হয়েছে ১৮৬.৮২ টাকা।

গ্রামীন ফোন: টেলিকমিউকেশন খাতের গ্রামীন ফোনের (জিপি) প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪.১৫ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩.৯৬ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.১৯ টাকা।

প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২০১৬) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ৫৬০ কোটি ৯৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৩৫ কোটি ৩৫ হাজার টাকা। এ সময়ে শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯.৭৩ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৬.৮৩ টাকা।

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স: প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত (জানুয়ারি-মার্চ ১৬) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রথম প্রান্তিকে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০৪ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১.০৯ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস কমেছে ০.০৫ টাকা।

এছাড়া, শেয়ার প্রতি কার্যকারী নগদ প্রবাহের পরিমাণ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ০.৬৪ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ২৮.৭৬ টাকা।

পিপলস ইন্স্যুরেন্স: ৩১ মার্চ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে পিপলস ইন্স্যুরেন্সের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩৭ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৩০ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.০৭ টাকা।

গত তিন মাসে কোম্পানির এনওসিএফসিএস হয়েছে ০.৯১ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১.০২ টাকা। এবং ৩১ মার্চ এর এনএভি দাড়িয়েছে ২৩.২২ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২২.৬৩ টাকা।

ট্রাস্ট ব্যাংক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি’১৬-মার্চ’১৬) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রথম প্রান্তিকে ট্রাস্ট ব্যাংকের সংকুচিত কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ৫১ কোটি ৫৫ লাখ ৫৫ হাজার ৬৫৬ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৪৯ কোটি ৭৭ লাখ ৬ হাজার ৫৪৩ টাকা।

এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.১০ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১.০৬ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.০৪ টাকা।

শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২.০৩ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৮.৬৬ টাকা।

এছাড়া শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের (এনওসিএফপিএস) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩.৩৫ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এনওসিএফপিএস ছিল ০.৫১ টাকা (নেগেটিভ)।

সূহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ: তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত (জুলাই ১৫ -মার্চ ১৬) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি সূহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুয়ায়ী তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.০৩ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ০.৪০ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান কমেছে ০.৩৭ টাকা।

এ ছাড়া, কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ১২.১০ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের পরিমান (এনওসিএফপিএস)হয়েছে ০.৭৪ টাকা (মাইনাস)।

গত তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ ১৬) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.০১৫ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০.০১ টাকা।

উসমানিয়া গ্লাস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি উসমানিয়া গ্লাস তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই’১৫-মার্চ’১৬) অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪.৫৯ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ০.৯৫ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান বেড়েছে ৩.৬৪ টাকা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪.৫৯ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসানের পরিমাণ ছিল ০.৯৫ টাকা।

শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪.৪৭ টাকা (নেগেটিভ)। এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮.৪২ টাকা।

সিমটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্রখাতের সিমটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই’১৫-মার্চ’১৬) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ৯ কোটি ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৮৩০ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫৭ হাজার ২৯২ টাকা।

এছাড়া শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৮৯ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১.৬১ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.২৮ টাকা।

এ ছাড়া, কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২.৬৩ টাকা। ৩০ জুন ২০১৫ অর্থবছরে এনএভিপিএস ছিল ২২.৩৪ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের (এনওসিএফপিএস) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ০.৩৩ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এনওসিএফপিএস ছিল ৩.২১ টাকা (নেগেটিভ)।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে অর্থাৎ শুধু মাত্র তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’১৬-মার্চ’১৬) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৭১ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ০.৪৩ টাকা।

অলিম্পিক এক্সেসরিজ: তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেড। প্রতিবেদন অনুযায়ী অলিম্পিক এক্সেসরিজের তিন প্রান্তিকে (১ জুলাই ২০১৫ থেকে ৩১ মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত) ইপিএস হয়েছে ১.০৪ টাকা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৯৯ টাকা। এ সময়ে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.০৫ টাকা।

এ ছাড়া সর্বশেষ প্রান্তিকে (১ জানুয়ারী থেকে ৩১ মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত) ইপিএস হয়েছে ০.২৮ টাকা এবং আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৩৪ টাকা। গত ৯ মাসে (তিন প্রান্তিকে) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট কার্যকরী নগদ প্রবাহের পরিমান দাড়িয়েছে ০.৬০ টাকা এবং আগের বছর একই সময়ে ছিল ১.৩২ টাকা। ৩১ মার্চ ২০১৬ এ কোম্পানির নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাড়িয়েছে ১৬.৩৩ টাকা যা ৩০ জুন ২০১৫ এনএভি ছিল ১৬.৭১ টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/রু

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.