আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০২ মে ২০১৬, সোমবার |

kidarkar

কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গুটিয়ে নিচ্ছে ভারত: কর্মীদের থোক টাকা দেওয়ার আশ্বাস

ভারতশেয়ারবাজার ডেস্ক : সরকারি খরচে রাশ টানতে বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পুরোপুরি গুটিয়ে নেওয়ার দিকেই এগোচ্ছে কেন্দ্র। তবে সে ক্ষেত্রে কর্মীদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার আশ্বাস দিয়েছে মোদী সরকার। সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ হলে তাঁদের এককালীন থোক টাকা মিলবে, যা যথেষ্ট ‘আকর্ষণীয়’ হবে বলে দাবি সরকারি সূত্রের।

গত ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে গঠিত ব্যয় নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কমিশনের সুপারিশ মেনেই লোকসানে চলা কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র। বন্ধ করার সিদ্ধান্ত পাকা হলে কর্মীদের মূলত পেনশন খাতেই ওই থোক টাকা দিতে চায় কেন্দ্র। তাদের লক্ষ্য এককালীন ওই খাতে খরচ করে সংস্থাগুলি টিকিয়ে রাখতে দীর্ঘ মেয়াদে বিপুল সরকারি ব্যয় বন্ধ করা।

২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত করা সরকারি হিসাব অনুযায়ী লোকসানে চলা কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সংখ্যা ৭৭। সব মিলিয়ে তাদের লোকসানের বোঝা ২৭,৩৬০ কোটি টাকা। সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে: ভারত গোল্ড মাইন্স, ট্যানারি অ্যান্ড ফুটওয়্যার কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া, সাইকেল কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া, মাইনিং অ্যান্ড অ্যালায়েড মেশিনারি কর্পোরেশন, ন্যাশনাল বাইসাইকেল কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া, ভারত প্রসেস অ্যান্ড মেকানিক্যাল এঞ্জিনিয়ার্স, ওয়েবার্ড ইন্ডিয়া, ভারত ব্রেক্‌স অ্যান্ড ভাল্‌ভস।

কমিশনের সুপারিশ হল, যেখানে যেখানে সম্ভব সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সম্পদ বিক্রি করে টাকা জোগাড় করা। ওই সব সংস্থার জন্য সরকারের খরচ, বাজেট বরাদ্দও খতিয়ে দেখেছে কমিশন। এ দিকে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও তাঁর এ বছরের বাজেট ভাষণে জানিয়েছেন, ঠিক কোন কোন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বন্ধ করা হবে, তা চিহ্নিত করবে নীতি আয়োগ। তিনিও সংস্থাগুলির সম্পদ বিক্রির উপর জোর দেন। জেটলি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতে সরকারি লগ্নির নতুন নীতি তৈরি হয়েছে। তার সঙ্গে মানানসই বিলগ্নিকরণ ও সিংহভাগ মালিকানা অন্য সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া সংক্রান্ত নীতিও প্রণয়ন করেছে কেন্দ্র।’’ তবে যেগুলির ক্ষেত্রে আর কোনও ভাবেই চাঙ্গা করা বা শেয়ার বিক্রি করা সম্ভব নয়, সেগুলির পাততাড়ি গুটিয়ে কর্মীদের কিছুটা পাওনা-গণ্ডা মেটানোর প্রস্তাবই দিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এই নীতি বদলের অঙ্গ হিসেবেই বিলগ্নিকরণ দফতরের নতুন নামকরণ হয়েছে লগ্নি ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সম্পদ পরিচালন দফতর বা ডিপার্টমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট।

প্রসঙ্গত, চলতি ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ খাতে ৩৬ হাজার কোটি টাকা তোলার লক্ষ্যে এগোতে চায় কেন্দ্র। আরও ২০,৫০০ কোটি টাকা তারা ঘরে আনতে চায় লাভজনক ও লোকসানে চলা— দু’ধরনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মালিকানা বিক্রি করে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.