বিবি’র ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট বিএসইসি ও ট্রেকহোল্ডার: ইতিবাচক হবে পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের সীমা প্রসঙ্গে নীতিগত সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু নীতিগত সহায়তায় অস্পষ্টতা থাকায় আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পুঁজিবাজারে সেল প্রেশার কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং সংশ্লিষ্ট ট্রেকহোল্ডার।
আজ সোমবার বিএসইসি, শীর্ষ ব্রোকারস ও মার্চেন্ট ব্যাংকার্সদের মধ্যে অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি এমন সাধুবাদ জানান বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান।
পুঁজিবাজারে টানা ৭দিন সূচকের পতনের প্রেক্ষিতে এ জরুরি বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে মো: সাইফুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, এক্সপোজার লিমিটের সময় না বাড়িয়ে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মূলধন বাড়ানোর মাধ্যমে সমন্বয়ের যে নীতি বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রহণ করেছে তা বাজারের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসু হবে। এতে বাজারে সেল প্রেশার থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুঁজিবাজারের প্রতি আগের চেয়ে অনেক নমনীয় অবস্থানে এসেছে। এতে বাজারের প্রতি সংশ্লিষ্টদের অহেতুক ভীতি দূর হবে।
এদিকে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো: ছায়েদুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের জন্য সময় বাড়ানোর পরিবর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে নীতি গ্রহণ করেছে তা যথাযথ। যদি নীতি গ্রহণ না করে সমন্বয়ের জন্য দুই বছর সময় বাড়ানো হতো, তাহলে দুই বছর পরে আবার শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ত। এই নীতি গ্রহণের ফলে এখন ব্যাংকগুলোকে শেয়ার বিক্রয় করতে হবে না। এতে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এদিকে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএসইসি’র কাছে তিন দফা দাবী তুলেছে ট্রেকহোল্ডাররা।
এ প্রসঙ্গে এক ট্রেকহোল্ডার বলেন, আমরা বিএসইসি’র কাছে ডিলার অ্যাকাউন্টে আইপিও কোটা বরাদ্দ চেয়েছি। পাশাপাশি ব্রোকারেজ হাউজের নতুন শাখা খোলার অনুমোদন এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের কর কমানোর জন্য যেন বিএসইসি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে এমন দাবী করা হয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ