আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৩ মে ২০১৬, মঙ্গলবার |

kidarkar

শেষবারের মতো ক্ষতিগ্রস্তদের কোটায় আইপিও পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা

Govt_Secশেয়ারবাজার রিপোর্ট: সর্বশেষ সময়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আইপিও (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) কোটা সুবিধা ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরপর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে কোটা সুবিধা পাবেন না। অর্থমন্ত্রনালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১০ সালের দেশের পুঁজিবাজারে ভয়াবহ ধ্বসের ফলে পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীদের জন্য পরবর্তি সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোটা সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর প্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রনালয় ২০১২ সাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের প্রতিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে ২০ শতাংশ করে কোটা সুবিধা প্রদান করে। এরপর থেকে প্রতি বছর বিএসইসি’র আবেদনের প্রেক্ষিতে কোটা সুবিধার মেয়াদ ১ বছর করে বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৩০জুন পর্যন্ত কোটার মেয়াদ বাড়িয়ে পরবর্তিতে আর বাড়ানো হবে না বলে ঘোষণা দেয় অর্থ মন্ত্রনালয়।

অর্থ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মোফখার উদ্দিন সাক্ষরিত এক চিঠিতে মেয়াদ বাড়ানোর দাবি ১ বছরের জন্য বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে জানানো হয় শেষবারের মত কোটা সুবিধার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আইপিওতে ২০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ ২০১২ সাল থেকে দেয়া হয়। এরপর ২০১৪ সালের জুনে এ কোটার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয় বিনিয়োগকারীদের দাবির মুখে কোটার মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০১৫ পর্যন্ত আনা হয়। পরবর্তীতে কোটার মেয়াদ ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত  বাড়ানো হয়। এখন ক্ষতিগ্রস্তদের কোটার মেয়াদ আরো একবছর অর্থাৎ ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য অর্থমন্ত্রনালয়ের কাছে সুপারিশ করে বিএসইসি।

জানা যায়, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকার ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। প্রণোদনা প্যাকেজে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বিশেষ স্কিম দেয়ার জন্য ঐ বছরের ২৭ নভেম্বর ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটি ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে বিভিন্ন সুপারিশসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ কোটা বরাদ্দের কথা বলা হয়।

এরপর ঐ বছরের ৫ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ২০ শতাংশ কোটায় আবেদন করার জন্য ১৮ মাস সময় বেঁধে দেয় (১ জুলাই ২০১২ থেকে ডিসেম্বর ২০১৩)। ৩০ এপ্রিল বিশেষ স্কিম কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করে বিএসইসির কাছে জমা দেয়। এর মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ২০৪টি ব্রোকারেজ হাউসের ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮৩ জন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সদস্যভুক্ত ১০৩টি ব্রোকারেজ হাউসের ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৭৭ জন এবং ২৫ টি মার্চেন্ট ব্যাংকের ৩৯ হাজার ১২০ জন বিনিয়োগকারী রয়েছেন। এতে করে সর্বমোট ৯ লাখ ৩৩ হাজার ২৮০ জন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী কোটা সুবিধার আওতায় আসেন।

২০১২ সালের ২৬ জুন মার্জিন ঋণের ৫০ শতাংশ সুদ মওকুফ এবং আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ কোটাসহ বিশেষ কমিটির সুপারিশ অনুমোদন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পরবর্তীতে ৩ জুলাই ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের লোকসান সমন্বয়ের কথা চিন্তা করে কোটা বরাদ্দের সময়সীমা আরো ৬ মাস সময় বৃদ্ধি করা হয়। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে ২০ শতাংশ কোটা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি আইপিওতে কোটা বরাদ্দ শুরু করে।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা/ওহ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.