মার্জার ও টেকওভার বিধিমালা প্রণয়নে বিএসইসি’র কমিটি গঠন
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: কোম্পানির মার্জার এবং টেকওভার জটিলতা নিরসনে বিদ্যমান সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার অর্জন, অধিগ্রহণ ও কর্তৃত্ব গ্রহণ) বিধিমালা-২০০২ সংশোধন কিংবা আলাদা বিধিমালা তৈরি করা যায় কিনা খতিয়ে দেখছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করেছে বিএসইসি।
আজ অনুষ্ঠিত বিএসইসি’র ৫৭১তম কমিশন সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কমিটির আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন নির্বাহী পরিচালক মো: মাহবুবুল আলম এবং সদস্য-সচিব হিসেবে রয়েছেন উপ-পরিচালক কাউসার আলী। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন রিপন কুমার দেবনাথ এবং মো: আবুল কালাম।
কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কমিটি বিভিন্ন দেশের এ সংক্রান্ত আইন যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত সংশোধনী বা আলাদা বিধি তৈরি করা যায় কিনা নির্ধারণ করবে। আর কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিএসইসি সরকারের কাছে এ আইনের সংশোধনের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করবে।
বিএসইসি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে জানান, বিদ্যমান আইনটিতে মার্জার এবং অ্যাকুইজিশনের বিষয়ে সরাসরি কোন দিক নির্দেশনা নেই। আর বিদ্যমান আইন মেনে মার্জার কিংবা অ্যাকুইজিশনের ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা রয়েছে। তাই বর্তমানে কোম্পানিগুলো মার্জার কিংবা অ্যাকুইজিশনের ক্ষেত্রে কোম্পানি আইনকেই ব্যবহার করে।
এ কর্মকর্তারা আরো বলেন, বিভিন্ন দেশে মার্জার এবং অ্যাকুইজিশনের জন্য পৃথক আইন রয়েছে। যার মাধ্যমে যে কোন কোম্পানি সহজে মার্জার কিংবা অ্যাকুইজিশন করতে পারে। এমনকি সম্প্রতি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এ বিষয়ে পৃথক আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
বর্তমানে মার্জার কিংবা অ্যাকুইজিশনের ক্ষেত্রে বিএসইসি’র ক্ষমতা সম্পর্কে জানা যায়, বিদ্যমান আইনে এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলা নেই। তাই কোম্পানিগুলো এ বিষয়ে আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে। আর আদালতের অনুমোদন থাকলেই বিএসইসি তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে মার্জার এবং অ্যাকুইজিশনের অনুমোদন দিচ্ছে।
জানা যায়, ২০০৫ সালে বেক্সিমকো ফার্মা এবং বেক্সিমকো ইনফিউশনের একিভুত হওয়ার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারী মার্জার এবং অ্যাকুইজিশনের সাথে পরিচিতি হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে বেক্সিমকো টেক্সটাইল, বেক্সিমকো ডেনিম এবং বেক্সিমকো নিটিং পদ্মা টেক্সটাইলের সাথে একীভুত হয়ে বেক্সটেক্স নামে পরিচিতি হয়। পরে বেক্সটেক্স বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের সাথে একীভুত হয়।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে কেয়া কসমেটিকস তার সহযোগী কোম্পানি কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড, কেয়া কটন মিলস লিমিটেড এবং কেয়া স্পিনিং মিলের সাথে একীভুত হয়। এছাড়া সামিট গ্রুপও তাদের কিছু কোম্পানি একিভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আর এ কোম্পানিগুলোর মার্জার প্রক্রিয়া আদালতের রায়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
মার্জারের কারণে কোম্পানির আয় আরও বাড়বে বলে ঘোষণা দিলেও প্রকৃত পক্ষে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মার্জারের কোন সুবিধাই পায়নি বলে জানায় বিএসইসি।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ