আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ মে ২০১৬, রবিবার |

kidarkar

জুন ক্লোজিং এর বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি চায় ডিএসই

dseশেয়ারবাজার রিপোর্ট: ফাইন্যান্স অ্যাক্ট, ২০১৫ অনুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাতিত অন্য সকল কোম্পানির বার্ষিক হিসাব জুলাই থেকে জুন ভিত্তিতে হতে হবে। কিন্তু সরকারের এমন নির্দেশ থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে অব্যাহতি দেয়ার দাবী জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর কাছে ডিএসই’র প্রাক বাজেট প্রস্তাবনায় এমন দাবী করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাজেট প্রস্তাবনা নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর-কে এমন প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ডিএসই চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি মো: সিদ্দিকুর রহমান মিঞা।

এছাড়া ডিএসই’র ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায়, ডিএসই-কে ৫ বছরের জন্য আয়কর থেকে শতভাগ অব্যাহতি, ট্রেকহোল্ডারদের উৎসকর ০.০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০১৫ শতাংশ, কর মুক্ত লভ্যাংশ আয় সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকায় উন্নীতকরণ, ট্রেকহোল্ডারদের ডি-মিউচ্যুয়ালাইজড শেয়ার হস্তান্তরে স্ট্যাম্প ডিউটি প্রত্যাহার, ট্রেকহোল্ডারদের মাধ্যমে দেয়া মার্জিন ঋণ মওকুফ গ্রাহকের আয় হিসাবে গণ্য না করার দাবী জানিয়েছে ডিএসই।

সম্মেলনে হিসাব বছর পরিবর্তন প্রসঙ্গে ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মতিন পাটোয়ারি বলেন, একটি কোম্পানি হিসাব বছর কিভাবে নির্ধারণ করবেন সেটা কোম্পানির নিজস্ব বিষয়। এমনকি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট স্ট্যান্ডার্ড সে স্বাধীনতাও কোম্পানিকে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের সরকার বলে দিয়েছে কোম্পানির হিসাব বছর তার ইচ্ছা অনুযায়ী নির্ধারণ হবে না। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী জুলাই থেকে জুন হবে। এতে কোম্পানি অ্যাক্ট এবং সিকিউরিটিজ অ্যাক্টের মধ্যে সাঙ্ঘর্ষিক হচ্ছে। পরিণতিতে আমাদের লিস্টেড কোম্পানিগুলোর আয় হিসাব বছর অভিন্ন করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তাই সরকারের এমন নির্দেশ থেকে লিস্টেড কোম্পানিগুলোকে অব্যাহতি দেয়ার দাবী জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যে সক্ষমতা ডিএসইর অর্জন করা দরকার তা এখনও পারেনি। এই সক্ষমতা বাড়াতে হলে বিনিয়োগও বাড়াতে হবে। তার জন্য আমাদের আরও ৫ বছর কর অবকাশ সুবিধা দরকার। যেটা আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে প্রস্তাবনা আকারে জমা দিয়েছি।

তিনি বলেন, জিডিপিতে দেশের পুঁজিবাজারের অবদান ২১ শতাংশ। সেখান থেকে সরকারের কর বাবদ আয় হয় ২০০ কোটি টাকা। ক্রমবিকাশমান পুঁজিবাজারে সুবিধা পেলে তা হাজার কোটি টাকার বেশি হবে বলে মনে করেন তিনি।

“পুঁজিবাজারের মন্দা অবস্থায় ব্রোকারদের আয় হচ্ছে না। সেই সাথে এতো বেশি কর তারা দিতে পারছে না। এটা সমন্বয় থাকার প্রয়োজন রয়েছে।”

মার্জিন ঋণ নিয়ে তিনি বলেন, যারা মার্জিন ঋণ নিয়েছেন; তাদের অনেকেই পুঁজি হারিয়েছেন। তাই সেংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এ মার্জিন ঋণ মওকুফ করে দিয়েছে। কিন্তু ঋণ মওকুফ হলেও তাদের এখন ওই মার্জিন ঋণকে আয় হিসাবে ধরে কর আরোপ করা হচ্ছে। এটা যাতে না করা হয় বিশেষ করে আমাদের ট্রেকহোল্ডারদের যা মার্জিন ঋণ দিয়েছেন তাদের জন্য আমরা প্রস্তাবনা দিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে নিবাসী ও অনিবাসী বাংলাদেশীদের কর কর্তন ৮২সি ধারার অধীনে অন্তর্ভুক্তিকরণ, স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইড শেয়ার হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি হতে অব্যাহতি প্রদান করার দাবী করা হয়েছে।

এসময় ডিএসইর চেয়ারম্যান বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, পরিচালক শাকিল রিজভী ও রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.