আজ: মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ মে ২০১৬, রবিবার |

kidarkar

বাজেট প্রস্তাবনায় সিএসই’র ১৯ দফা দাবী

cseশেয়ারবাজার রিপোর্ট: আসন্ন ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) পুঁজিবাজারের উন্নয়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে ১৯ দফা দাবী করেছে।

আজ রোববার এনবিআরের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট বৈঠকে ১৯ দফা দাবী করেছে সিএসই। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সিএসই’র করা ১৯ দফা দাবী হলো:

১. পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এসএমই)তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পৃথক স্কীমের আওতায় এনে এদের জন্য নিম্নোক্তভাবে কর্পোরেট কর হার নির্ধারণ করা যেতে পারে। যেমন: কোম্পানিগুলোর প্রথম ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে শূণ্য শতাংশ কর, পরবর্তী ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে ১৫ শতাংশ কর এবং তদুর্ধ্ব আয়ের উপর ২০ শতাংশ কর আরোপ করা যেতে পারে।

২. পুঁজিবাজারে গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য নতুন পণ্য যেমন: এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) ও কালেক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কীম- এ ধরনের নতুন পণ্য করের আওতামুক্ত রাখা যেতে পারে।

৩. ব্রোকারেজ হাউজগুলোর করসীমা ৩৫ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে কমিয়ে আনা যেতে পারে।

৪. ব্যাংক, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যখন তালিকাভুক্ত করবে তখন তাদেরকে অন্যান্য সাধারণ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মতো ২০ শতাংশ কর সুবিধা দেয়া যেতে পারে।

৫. তালিকাভুক্ত মোবাইল কোম্পানিগুলোর করসীমা ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশে আনা যেতে পারে।

৬. করমুক্ত বাড়িভাড়ার মাসিক সীমা ৪০ হাজার টাকায় উন্নীত করা যেতে পারে।

৭. ইউটিলিটি বাবদ বার্ষিক ৩০ হাজার টাকা আয়করমুক্ত রাখার বিধান করা যেতে পারে।

৮. ব্যক্তিগত আয়ের করসীমা ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে আনা যেতে পারে।

৯. বিএসইসি কর্তৃক জুলাই ২০১০ তারিখ থেকে অদ্যাবধি সব লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন প্রদান ও নবায়ন বাবদ গৃহীত ফি চার্জ এর উপর ১৫ শতাংশ হারে মূসক কর্তন করে তা রাজস্ব বিভাগে জমা দেয়ার অনুরোধ করেছে এনবিআর।

বিগত ছয় বছরের বকেয়া মূসক হিসাব ও জমা করা ব্রোকার, ডিলার ও অথোরাইজড রিপ্রেসেন্টিভদের জন্য দুরুহ বিষয় বলে প্রতীয়মান হয় বিধায় উক্ত চিঠির কার্যকারীতা ২০১০ এর পরিবর্তে ২০১৬ সাল থেকে বলবৎ করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

১০. অর্থ আইন-২০১৫, ধারা-২(৩৫জি) অনুযায়ী ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাতিত অন্যান্য কোম্পানির আয় বছর জুলাই থেকে শুরু করার বিধান রয়েছে যা কোম্পানি আইনসহ অন্যান্য বিদ্যমান আইনের সাথে সাংঘর্ষিক বিধায় এ ধারা বাতিল করা যেতে পারে।

১১. বর্তমান পুঁজিবাজারের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ক্রমহ্রাসমান হারে আয়কর অব্যাহতির পরিবর্তে স্টক এক্সচেঞ্জসমূহকে শতভাগ করমুক্ত রাখা যেতে পারে।

১২. স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের নিকট থেকে উৎসে আয়কর কর্তনের হার ০.০৫ শতাংশের পরিবর্তে পূর্ববর্তী ০.০১৫ শতাংশ পুন:নির্ধারণ করে এরুপ কর্তিত করকে ব্রোকারেজ ব্যবসা হতে উদ্ধৃত সমুদয় আয় (গ্রস ইনকাম) এর জন্য চূড়ান্ত করদায় বিবেচনা করার বিধান করা যেতে পারে।

১৩. কোম্পানিসমূহ আয়ের উপর প্রদেয় কর কর্তন করে লভ্যাংশ দেয় বিধায় লভ্যাংশ থেকে উৎসে কর কর্তনের বিধান বাতিল করা যেতে পারে।

১৪. করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকা করা যেতে পারে।

১৫. এক জুলাই, ২০১৬ থেকে শেয়ার বিক্রয়লব্ধ মূলধনী লাভের উপর নিম্নোক্ত হারে কর ধার্য করা যেতে পারে। যেমন শেয়ার ধারনকাল এক বছর পর্যন্ত হলে কর হার ৫ শতাংশ এবং শেয়ার ধারনকাল এক বছরের অধিক হলে করহার শূণ্য শতাংশ করা যেতে পারে।

১৬. সফটওয়্যার মেইনটেনেন্স ফি এর উপর উৎস কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ ও মূল্য সংযোজন কর কর্তনের হার ২ শতাংশে নির্ধারণ করা যেতে পারে।

১৭. লোকসান সমন্বয় করার সুযোগ আট বছর পর্যন্ত করা যেতে পারে।

১৮. দেশে শিল্পায়নের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য মূলধন গঠন (ক্যাপিটাল ফর্মেশন) এর লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানি সমূহকে প্রণোদনা হিসেবে বিদ্যমান করহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা যেতে পারে।

১৯.মার্চেন্ট ব্যাংক সমূহের বিদ্যমান কর হার ৩৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা যেতে পারে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.