নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব কাস্টমারের: সুইফট
শেয়ারবাজার ডেস্ক: ব্যাংকিং খাতে যেসব কাস্টমার আছে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের নিজেদের। এ কথা বলেছে আর্থিক খাতে নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা সুইফট। কমপিউটার থেকে এর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে যে ম্যাসেজ পাঠানো হয় তার জন্য সুইফট দায়ী নয় বলে দাবি করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, ওই মেসেজ পাঠিয়েই এ বছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। এ বিষয়ে গত ৩রা মে কাস্টমারদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে সুইফট। তাতে তাদেরকে নিজস্ব নিরাপত্তা প্রটোকল পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনাদের সিদ্ধান্ত নেয়া, ফায়ারওয়াল বসানো ও তা রক্ষাবেক্ষণের জন্য সুইফট দায়ী নয়। দায়ী হতে পারে না। এ দায়িত্ব আপনাদের। আপনাদের আভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক যথাযথভাবে আলাদা করে দেখাও সুইফটের দায়িত্ব নয়।
ওইি চিঠিতে আরও বলা হয়, ব্যবহারকারীদের যে সুইফট নেটওয়ার্ক আছে তার নিরাপত্তার জন্য ব্যবহারকারীরাই দায়ী। এ বিষয়টি নিয়ে বুধবার রয়টার্স পর্যালোচনা করেছে। এ চিঠির বিষয়বস্তুর সঙ্গে পরিচিত এমন একজন বলেন, ১৯৭৩ সালে ব্রাসেলসভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পরে এবারই প্রথম এমন চিঠি পাঠিয়েছে সুইফট। এ চিঠির বিষয়বস্তু এ সপ্তাহে প্রথম প্রকাশ করে আর্থিক সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ব্যাংকার ও পেমেন্টস কার্ডস অ্যান্ড মোবাইল।
রয়টার্স ওই রিপোর্টে বলেছে, সুইফটের সাবেক কর্মকর্তারা বলেছেন, সবসময়ই এ গ্রুপটি তার ক্লায়েন্টদের বলে এসেছে যে, তারাই সুইফট সিস্টেমে প্রবেশের বিষয়ে নিরাপত্তার জন্য দায়ী। তারা আরও বলেছেন, সুইফট এমন নিশ্চয়তা দেয় না যে, ক্রিমিনালরা তার ক্লায়েন্টের সুইফট পাসওয়ার্ড সুবিধা দিয়ে নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারবে না।
বুধবার সুইফটের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সুইফট তার কাস্টমারদের ডিজিটাল স্বাক্ষর সহ এনক্রিপশন টুলস ইস্যু করার মাধ্যমে তাদেরকে নিবন্ধিত করে থাকে। কাস্টমারদের দেয়া হয় পাবলিক কি ইনফ্রাস্টাকটার (পিকেআই) সার্টিফিকেট। এটা দিয়েই নেটওয়ার্কের যথাযথ ব্যবহারকারীকে সনাক্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সার্টিফিকেটে যেসব গোপনীয় বিষয় থাকে তার নিরাপত্তা রক্ষাও কাস্টমারদের। যথাযথ কর্তৃপক্ষ ছাড়া তা ব্যবহার করতে পারবে না। এ জন্য সুইফট দায়ী নয়।
শেয়ারবাজারনিউজ/রু