আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ মে ২০১৬, সোমবার |

kidarkar

পুনঃঅর্থায়ন ফান্ড: জুনের মধ্যে আবেদন, ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ

icb-আইসিবিশেয়ারবাজার রিপোর্ট: ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পুনঃঅর্থায়নের টাকার জন্য আবেদন করার সময় শেষ হতে যাচ্ছে চলতি বছরের ৩০ জুন। এরপর থেকে আর কোনো আবেদন করা যাবে না। একই সাথে সব ধরনের পুনঃঅর্থায়নের ঋণ পরিশোধ করতে হবে এ বছরের ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে। আইসিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দেশের পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের মহাধ্বসের পর অর্থ মন্ত্রনালয়ের অনুমোদনক্রমে ৯০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়নের ফান্ড গঠন করা হয়। ফান্ড বিতরন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয় রাষ্ট্রয়াত্ব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি)। মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ অর্থ ছাড় করা হয়।তবে কোনো ক্ষেত্রেই বিনিয়োগকারীদের বিপুল আগ্রহ দেখা যায়নি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুদের হার ও শর্তের বিরুপ প্রভাবের অযুহাতে প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণের আবেদন করেনি। এমনকি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর ব্যাপারেও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর আগ্রহ দেখা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইফতেখারুজ্জামান শেয়ারবাজারনিউজ ডট কমকে বলেন, ‘ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন পড়েছে খুব কম। এছাড়া মন্ত্রনালয়ের ফান্ড হওয়ায় এখানে আইসিবি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। জুনের ৩০ তারিখের মধ্যেই যোগ্য যেসব ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন পেতে চান তাদের আবেদন করতে হবে। এরপর আবেদনের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না’। জুনে যারা আবেদন করবেন তাদের জন্যও আলাদাভাবে কোনো সময় বাড়ানো হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা জুন বা জুনের ৩০ তারিখের আগে ঋণ নেবেন তাঁরা প্রান্তিক অনুযায়ী হিসাব করলে দুইটি ইন্সটলমেন্ট পাবেন। তবে আলাদা করে সময় বাড়ানো হবে না। সবার জন্যই ঋণ পরিশোধের শেষ সময় এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর’।

সূত্র জানায়, পুন:অর্থায়নের ৯০০ কোটি টাকা থেকে আগ্রহীদের অর্থ বরাদ্দ পেতে ৩১ মার্চ, ২০১৬ পর্যন্ত আবেদনের সময় বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু এখনো কাঙ্ক্ষিত আবেদন জমা পড়েনি। তাই আবেদনের সময় আরো তিনমাস বাড়িয়ে দেয়ার জন্য তদারকি কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতএব আগামী ৩০ জুন, ২০১৬ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা পুন:অর্থায়নের টাকা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট বা সিকিউরিটিজ হাউজের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

জানা যায়, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নাম থাকা বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফ ও মাত্র ৯ শতাংশ সুদে ঋণ রি-সিডিউলিংয়ের সুবিধা প্রাপ্তির আবেদন করতে হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইসিবি’র এক কর্মকর্তা শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুন:অর্থায়নের ৯০০ কোটি টাকা তহবিলের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে এ অর্থ বিতরণ শেষ করতে হবে। তা না হলে অবিতরণকৃত অর্থ সরকারের তহবিলে ফেরত যাবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি তহবিল তদারক কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয় আইসিবি। গত ১৯ জানুয়ারি ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় গঠিত বিশেষ তহবিলের ৯০০ কোটি টাকার দ্বিতীয় কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড় করে। তহবিলের অর্থ ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে বিতরণ করবে।

উল্লেখ্য, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুন:অর্থায়ন তহবিলের আওতায় এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৯৮৮ অর্থাৎ প্রায় ২৫ হাজার বিনিয়োগকারীকে ৩৪টি সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ৬৩৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/ও

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.