বিএসইসি’র জরুরী বৈঠক: পুনঃঅর্থায়ন ফান্ডের সুদহার কমানোর সুপারিশ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থ মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন দেওয়া ৯০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন ফান্ডের মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজন অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর পাশাপাশি ফান্ডের সুদের হার কমানোরও সুপারিশ করবে কমিশন। আজ বিএসইসি’র এক জরুরী বৈঠকে অর্থ মন্ত্রনালয়ের কাছে এসব সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আইসিবি’র মাধ্যমে বিতরন করা এ অর্থ আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করার সময়সীমা নির্ধারন করা ছিল। এ সময়সীমা আরো এক বছর বাড়িয়ে ঋণের অর্থ পরিশোধ করার শর্ত শিথীল করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। একই সাথে ফান্ডের অর্থে সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮ শতাংশ করার সুপারিশও করা হবে।
বিএসইসি’র মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডট কমকে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রনালয়ের কাছে ফান্ডের সময়সীমা আরো ১ বছর বাড়ানো ও ফান্ডের সুদের হার ১ শতাংশ কমানোর সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি আমরা এ ফান্ডের টাকা পরিশোধের শর্তসমূহ সহজতর করারও সুপারিশ করতে যাচ্ছি’।
জানা যায়, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যেমে পুনঃঅর্থায়ন ফান্ড নামে ৯০০ কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১০ সালের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের এ ফান্ডের অর্থ মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যেমে দেওয়া্ হয়। ফান্ডের অর্থ পাওয়ার জন্য আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আগামী ৩০জুন। ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে ঋণের অর্থ পরিশোধ করার শর্ত দেওয়া ছিল।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি তহবিল তদারক কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয় আইসিবি। গত ১৯ জানুয়ারি ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় গঠিত বিশেষ তহবিলের ৯০০ কোটি টাকার দ্বিতীয় কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড় করে। তহবিলের অর্থ ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে বিতরণ করবে।
উল্লেখ্য, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুন:অর্থায়ন তহবিলের আওতায় এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৯৮৮ অর্থাৎ প্রায় ২৫ হাজার বিনিয়োগকারীকে ৩৪টি সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ৬৩৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/ও