অসম্মান করা হল আসিফকে!
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : গ্রামীনফোন ও বাংলালিংকের অনিয়ম আর দুর্নীতি তুলে ধরায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী আসিফ আকবরকে অসম্মান করা হয়েছে।
আসিফ নাকি কোন শিল্পী না- এমন মন্তব্য করেছেন গ্রামীন ফোনের বর্হিযোগাযোগ বিভাগের প্রধান সৈয়দ তালাত কামাল।
অন্যদিকে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর দুর্নীতি তুলে ধরায় আসিফ হতাশায় ভুগছেন এমন মন্তব্য করেছেন বাংলালিংক এর জনসংযোগ কর্মকর্তা রাজীব আহসান।
আসিফ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে সম্প্রতি এ দুই প্রতিষ্ঠানের নানা কুর্কীতি তুলে ধরেন।
আসিফ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, গ্রামীন ফোনের বহির্যোগাযোগ বিভাগের প্রধান সৈয়দ তালাত কামাল একটি অনলাইন পত্রিকায় বলেছে,আসিফ আকবর আবার কোন শিল্পী ? এ নাম তো জীবনে প্রথম শুনলাম। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে আসিফ বলেন, এই তালাত কি এলিয়েন নাকি প্রতিবন্ধী এই বিষয়ে আমি খুব চিন্তায় পড়ে গেছি। তালাতকে বলতে চাই, তুমি যে কোম্পানীর চাকর , সেই গ্রামীনফোন এই আসিফের কাছে অতীতের ৫বছরের চুরি এবং দূর্নীতির দায়মুক্তি নিয়েছে ক্ষমা চেয়ে,কথা ছিলো ভবিষ্যতে চুরি বাটপারী করবেনা ।
তিনি আরও বলেন, তোমার গ্রামীনফোনের সাথে এই বিষয়ে আমার কোম্পানী আর্ব এন্টারটেইনমেন্ট এর চুক্তিটা খুঁজে পড়। আমি আরো পাঁচ বছর আগেই পেশা হিসেবে গান থেকে বেরিয়ে এসেছি । আমার নাম শোনার দরকার নাই, নিজের পিঠ বাঁচাও । বাংলালিংক এর জনসংযোগ কর্মকর্তা রাজীব আহসান বলেছে, আমি নাকি হতাশা থেকে কথাগুলো বলছি। তলে তলে আমার কোম্পানীর অফিসিয়ালদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করছো ,আর হতাশ আমি ? তোমার মত এ রকম পাঁচশো কর্মচারী আমার আছে, তবে তারা চোরও না চোরের ভাইও না । যাদের জোরে কথা বলছো, তাদেরকেও টেনে নামানো হবে, অপেক্ষা শুধু সময়ের । এই ফাঁকে সূযোগ পেলে আমাকে মেরে ফেলো, অন্যথায় পালানোর রাস্তা খোঁজো । আমার নাম আসিফ আকবর,খুব খেয়াল করে নামটা মনে রাখবা। আমি তোমাদের মত জগৎশেঠ,মীরজাফর,রাজবল্লভ উমিচাঁদ,ঘসেটি বেগম নই ।
এদিকে আসিফ তার ফেসবুকে লিখেছেন,বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশীদের তিন বছর পর্যন্ত কর অবকাশ(TAX FREE) দেয়া হয় । এই সূযোগ কাজে লাগিয়ে ভাগ দেশী বিদেশী প্রতিষ্ঠান গুলোতে সি.ই.ও(C.E.O) পদ থেকে শুরু করে অর্থ ও প্রশাসন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন পদগুলো বিদেশীরা দাবড়ে বেড়াচ্ছে। যেমন গ্রামীনফোন,রবি,এয়ারটেল,কিংবা বাংলালিংকের সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা বিদেশী নাগরিক । কর অবকাশ সহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি তিন বছর তারা এনজয় করে শুধু নিজের জন্য নয় !!! লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এসব কোম্পানীর CEO সবসময় বিদেশী হয় এবং তারা তিন বছরের বেশী এ দেশে থাকেনা , নতুন কেউ আসে। কর্পোরেট সেক্টরের নামে বিদেশীরা দাবড়াচ্ছে বাংলাদেশী চাকুরেদের। সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের ছেলেরা ইয়াহু, গুগল,নাসা,মোবিলিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টপ পজিশনে আছে। এদের যোগ্যতাও আছে বাংলাদেশের জিপি রবি’র CEO হবার মত, কিন্তু দেয়া হবেনা । এটাই একটা খেলা। টেলকো গুলো On Mobile নামক বিষধর হায় হায় বিদেশী কোম্পানীকে জোর পূর্বক বাংলাদেশে বসিয়েছে , বাংলাদেশের সঙ্গীত জগত এই On Mobile এর কাছে জিম্মী। বাংলাদেশের সব শিল্পীরা এখনো হিজড়া হয়ে যায়নি। মামলার প্রস্তুতি সম্পন্ন প্রায়, ঝেটিয়ে বিদায় করা হবে। বিদেশীরা তো পালিয়ে বাঁচবে , তাদের বাংলাদেশী দোসর মীরজাফর জগৎ শেঠ দের কি হবে ? দিন গননা শুরু কর।
শেয়ারবাজার/রা/সা