আমি নিজেও একজন প্রতিবন্ধী: অর্থমন্ত্রী
শেয়ারবাজার ডেস্ক: মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বাজেট বরাদ্দসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও আসন্ন বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবির জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, “আমি নিজেও একজন প্রতিবন্ধী। আমার বয়স হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠককালে অর্থমন্ত্রী উল্লিখিত মন্তব্য করেন। বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর কাছে লিখিত দাবি-দাওয়া পেশ করেন ফোরামের নেতাকর্মীরা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “বাইরে (দেশের বাইরে) গেলে টয়লেটসহ প্রতিবন্ধীদের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়, আমাকে সেগুলো ব্যবহার করতে হচ্ছে। কাজেই আমিও একজন প্রতিবন্ধী।”
অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ছাড়াও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন।
জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের পক্ষে দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন ফোরামের মহাসচিব সেলিনা আক্তার।
লিখিত বক্তব্যে প্রতিবন্ধী ফোরামের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশু, স্থানীয় সরকার, যুব ও ক্রীড়া, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, আইসিটি, সংস্কৃতি, পরিকল্পনা এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রতিবন্ধীদের জন্য বাজেটে পৃথক বরাদ্দ রাখতে হবে।
এ দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ফোরামের সভাপতি রজব আলী খান বলেন, “একজন প্রতিবন্ধী ছাত্র বা শিক্ষক সহায়ক যন্ত্রপাতি দরকার। এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কোনো বিশেষ বরাদ্দ নেই।”
রজব আলী খান বলেন, “অনেক প্রতিবন্ধী খেলোয়াড় আছেন, যারা আন্তর্জাতিক ইভেন্টে জয়ী হয়ে গোল্ড মেডেলসহ পুরস্কার অর্জন করেছেন। কিন্তু তাদের জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে কোনো বিশেষ বরাদ্দ নেই।
রজব আলী খান আরো বলেন, “মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বিশেষ বরাদ্দ থাকলে প্রতিবন্ধীরা দেশের সম্পদে পরিণত হবে। প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার উপযোগী টয়লেট, যানবাহনের ব্যবস্থা করতে হবে।
রজবসহ অন্যদের বক্তব্য শোনার পর অর্থমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের দাবি-দাওয়াগুলো যৌক্তিক, এটা ঠিক। কিন্তু এ মুহূর্তে কিছু করার নেই।”
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, “বিভিন্ন ভবনে প্রতিবন্ধীদের সহজে চলাচলের জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে যে ধরনের ব্যবস্থা করা হয়, এগুলো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।”
শেয়ারবাজারনিউজ/মা