শুরু হতে না হতেই কালো তালিকাভুক্ত সৌদি-জোট
শেয়ারবাজার ডেস্ক: এ জোটেই সেনা পাঠাতে চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু বিধি বাম। জোটের প্রথম বড় ধরনের অভিযানেই জাতিসংঘ কালো তালিকাভুক্ত করল সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটকে।
ইয়েমেনে জোটের বিমান হামলায় কয়েক শ শিশু নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বছরের কালো তালিকায় দেশটির রাজধানী সানা দখল করে রাখা শিয়া হুথি বিদ্রোহীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘের শিশু ও সশস্ত্র সহিংসতাবিষয়ক দূত লেইলা জেরুগুই এক বিবৃতিতে জানান, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি ছেলে ও মেয়ে উভয় শিশুদের ওপর ভয়ংকর প্রভাব ফেলছে।’ তিনি বলেন, ‘ইয়েমেনের পরিস্থিতি সত্যি ভয়ংকর। বিশেষ করে অস্ত্রধারীরা আগের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি হারে শিশুদের দলে নিয়োগ দিচ্ছে।২০১৪ সালের তুলনায় ছয় গুণ হারে শিশুহত্যা এবং তাদের অঙ্গহানি হচ্ছে।’
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ৭৮৫টি শিশু হত্যার শিকার হয়েছে এবং এক হাজার ১৬৮টি শিশু আহত হয়েছে। হতাহতের এসব ঘটনার জন্য ৬০ শতাংশই দায়ী সৌদি আরব। হুথিদের হটাতে সৌদি জোট ২০১৫ সালে বিমান হামলা শুরু করে। কিন্তু বিদ্রোহীরা এখনো রাজধানীসহ দেশের অনেক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ইয়েমেনে বেশির ভাগ হামলায় হুথি ও সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোট জড়িত। স্কুল ও হাসপাতালে তাদের হামলায় হত্যা এবং বিকালঙ্গের ঘটনা ঘটছে। মোট শিশুর ৭২ শতাংশ হুথিরা নিয়োগ দিচ্ছে, ১৫ শতাংশ নিয়োগ দিচ্ছে সরকারি বাহিনী এবং আল-কায়েদা ৯ শতাংশ শিশু ব্যবহার করছে। লেইলা জেরুগুই বলেন, বিমান হামলায় সবচেয়ে জটিল অবস্থা তৈরি হচ্ছে। এসব হামলায় ব্যাপক হারে শিশু মারা যাচ্ছে এবং আহত হচ্ছে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সশস্ত্র দল ও মিলিশিয়া সরকারি বাহিনীর সমর্থনে লড়াইয়ের সংখ্যা বাড়িয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে তারাও শিশুদের নিয়োগ করছে। জোট বাহিনী ইয়েমেনে হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মানুষ মারা গেছে। মানবিক সাহায্যের অভাবে ভুগছে অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ।
শেয়ারবাজারনিউজ/ওহ