রিজার্ভ চুরিতে এবার রহস্যময় মহিলা!
শেয়ারবাজার ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হ্যাক করে টাকা চুরির ঘটনা নতুন বাঁক নিয়েছে। এবার এ ঘটনার সাথে সংযোগ পাওয়া গেছে মিশরের। রাজধানী কায়রোর কম্পিউটারে মিলেছে বিস্ময়কর তথ্য। হ্যাকিংয়ের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার থেকে সেখানে পৌঁছেছে জরুরি বিজ্ঞপ্তি।
কম্পিউটারটির অপারেটর ছিলেন সাধারণ এক মহিলা। তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানা গেছে। দু’দফা জেরার পরও মহিলা মুখ খুলেননি।মহিলা দাবী করছেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তিনি কোনোভাবে সঙ্গে যুক্ত নন।
অাশঙ্কা করা হচ্ছে, রহস্যময় এ মহিলা পরোক্ষভাবে হলেও অপরাদের সঙ্গে যুক্ত। কম্পিউটারটি বাজোয়াপ্ত করা হয়েছে। সেটিও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। শুধু মিশর নয়, রিজার্ভ চুরিতে জড়িয়েছে ১১টি দেশ। তাতে যুক্ত চিন, জাপান, সিঙ্গাপুরের মতো দেশ। ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে ঢুকে হ্যাকাররা ৭০টি বার্তা পাঠায়। নির্দেশ যায়, ৯০ কোটি ডলার পেমেন্টের। সংযোগকারী ব্যাংক না থাকায় ৩৫টি বাতিল হয়। বাকি ৩৫টির মধ্যে ৪টি ছিল ব্যক্তিগত নামে। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যক্তির নামে কখনও বড় পেমেন্ট করে না। তবুও করেছে। কারণটা অজ্ঞাত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নেটওয়ার্ক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা সুইফটেরও গাফিলতি আছে। ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ সুইফট কোনও বার্তা উদ্ধার করে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ককে দিতে পারেনি। তাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অবৈধ পেমেন্ট হল, অথচ দেড় মাসেও তারা কোনও তথ্য দিতে পারল না। অভিযোগ এড়াতে চাইছে সুইফট। তারা বলছে, এ সব দেখা তাদের কাজ নয়। যারা ব্যবহার করছে, তাদেরই বুঝতে হবে। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা গ্রাহককে সব বুঝিয়ে দেওয়ার পর আর কোনও দায়িত্ব থাকে না।
সুইফটের বিরুদ্ধে অভিযোগ একটা নয়, আরও আছে। সংযুক্তির সময় সুইফটের অ্যান্টিভাইরাস সরিয়ে ফেলা হয়। এটিকে সুরক্ষিত করতে হার্ডওয়্যার সিকিউরিটি মডিউল বসানোর কথা থাকলেও, বসানো হয়নি। গাফিলতির ফিরিস্তি ক্রমশ লম্বা হচ্ছে। দায়ীদের চিহ্নিত করার চেয়ে অপরাধীদের খুঁজে বার করা আরও বড় কাজ। ম্যানিলায় ৩১ মে ইন্টারপোল ১১টি দেশের তদন্তকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। সমন্বয় আরও বাড়ান দরকার বলে মনে করছে ইন্টারপোল। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/ওহ