শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সিকিউরিটিজ আইন না মেনেই তিন মার্চেন্ট ব্যাংক তাদের প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দিয়েছে। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড, উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ও জিএসপি ফাইন্যান্স লিমিটেড।

এদিকে এ তিন মার্চেন্ট ব্যাংকের পাশাপাশি অন্যান্য মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ প্রসঙ্গে কঠোর হচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নীতিমালা না মেনে নির্বাহী নিয়োগ দেওয়ায় উল্লেখিত তিন মার্চেন্ট ব্যাংককে নিয়োগ প্রক্রিয়া সংশোধন করতেও নির্দেশনা দেয়।

জানা যায়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার) রুলস ১৯৯৬ এর ৩৭ ধারা অনুযায়ী, কোনো মার্চেন্ট ব্যাংকের এমডি ও সিইও নিয়োগের অনুমোদন করবে বিএসইসি। পরবর্তিতে তিন বছর পরপর ওই পদের মেয়াদ নবায়ন করতে হবে। কিন্তু বিএসইসি’র নজরে আসে সিইও ও এমডি নিয়োগে বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক অনিয়ম করছে। ফলশ্রুতিতে অনিয়ম করা মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে সংশোধনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সাথে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোতে নজরদারী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসি সার্ভিল্যান্সে উঠে আসে তিন বছরের মেয়াদ পার হয়ে গেলেও তিনটি প্রতিষ্ঠান সিইও ও এমডি পদের নিয়োগের অনুমোদন নেয়নি। সিকিউরিটিজ আইন না মেনেই এমডি নিয়োগ দেওয়া মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড, উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ও জিএসপি ফাইন্যান্স লিমিটেড।

একই সাথে, অযাচিত হস্তক্ষেপ রোধের জন্য ব্যাংকের কোম্পানির সাবসিডিয়ারী দুটি মার্চেন্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে মূল প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ক্যাপিটালকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার) রুলস ১৯৯৬ এর ৬(ক) ধারা অনুযায়ী, কোনো মার্চেন্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে মূল ব্যাংকের পরিচালক ৫০ শতাংশের বেশি থাকতে পারবে না।

শেয়ারবাজারনিউজ/ওহ/ম.সা