ঢাকায় জাল নোটসহ দাউদের সহযোগী গ্রেপ্তার
শেয়ারবাজার ডেস্ক: শুক্রবার সকালে হজরত শাহজালাল (র) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার ভারতীয় জাল নোটসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যাক্তি আন্ডার-ওয়ার্ল্ডের ডন দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী বলে দাবী করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যেম। দেশটির বহুল প্রচারিত বাংলা পত্রিকা ‘দৈনিক বর্তমান’র বরাত দিয়ে জানানো হয় ওই ব্যাক্তি দাউদ ইব্রাহিমের ‘ডি-কোম্পানি’র হয়ে কাজ করেন।
শুক্রবার ওই ব্যাক্তি কম্বল এবং বালিশের ভিতরে জাল নোটগুলো নিয়ে আসছিলেন। কাস্টমস ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডাইরেক্টরেটের (সিআইআইডি) গোয়েন্দারা নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শারজা থেকে এয়ার এরাবিয়ার বিমানে আসা ওই যাত্রীকে গ্রেপ্তার করেন। জানা যায়, ওই যাত্রী ফেনীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবুল বাশার।
দীর্ঘ জেরায় সিআইআইডি জেনেছে, আবুল বাশার পাকিস্তানের করাচি থেকে শারজা হয়ে ঢাকায় আসে। দাউদ ইব্রাহিম কাসকরের ‘ডি-কোম্পানি’র ক্যারিয়ার হিসাবেই ওই জাল নোট শারজা থেকে সংগ্রহ করেছিল সে। তবে তা বহন করে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ ডি-কোম্পানির কাছ থেকে মিলেছিল করাচিতেই। এর আগেও একই কায়দায় ভারতীয় জাল নোট বিমানে ঢাকায় আনা হয়েছে বলে জেরায় বাশার স্বীকার করেছে। জাল নোট কারবারে দুবাইয়ে দাউদের ম্যানেজার হাদিজ ইকবাল ওরফে ইকবাল কানা ওরফে মালিক ভাই। তার প্রধান এজেন্ট সৈয়দ মোহম্মদ সফি ওরফে শেখ সফির কাছ থেকে ভারতীয় জাল নোট সংগ্রহ করেছিল বলে বাশার জানিয়েছে। বিমানবন্দরে তাকে নিতে আসা মইনুল নামে এক গাড়ির চালককেও সিআইআইডি গ্রেপ্তার করেছে।
প্রসঙ্গত, দুই দেশের গোয়েন্দাদের মধ্যে জাল নোট কারবারের অপরাধী ও অপরাধের তথ্য বিনিময়ের জন্য একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল, যার নাম মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রিটি (এম লাট)। এর প্রেক্ষিতে জাল নোট কারবার সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য দেশের পুলিশ বাহিনী ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছে।
ভারতীয় গনমাধ্যেমগুলো দাবী করে, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এই বিমানবন্দরেই পাকিস্তান থেকে আসা অপর এক নাগরিকের কাছ থেকে মিলেছিল ১.২৮ কোটি টাকার ভারতীয় জাল নোট। তার দু’দিন আগে চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেনারের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল পৌনে তিন লাখ টাকার ভারতীয় জাল নোট। ওই দু’টি ঘটনার তদন্তে গত বছর অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ এসেছিল ভারতীয় এনআইএ টিম। এদিন ধরা পড়া জাল নোটের যোগসূত্রও খুঁজছের গোয়েন্দারা। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জাল নোট সড়কপথে ঢাকা থেকে মালদহ সীমান্ত লাগোয়া চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার কাইজারহাটের স্ট্যাক ইয়ার্ডে মজুত করার পরিকল্পনা ছিল ডি-কোম্পানির। তদন্তকারীরা বলছেন, এই মুহূর্তে দুবাইয়ের ছাপাখানায় ভারতীয় জাল নোট ছাপিয়ে কাতার এয়ারওয়েজ, গালফ এয়ার, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স এবং এয়ার আরবিয়ার বিমানে তা ঢাকায় পাঠাচ্ছে দাউদ বাহিনী।
শেয়ারবাজারনিউজ/ওহ