ডিভিডেন্ড ক্রোক করার নির্দেশ বহাল রেখেছেন আদালত
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : মার্জিন ঋণধারী বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য ক্যাশ ডিভিডেন্ড সরাসরি তাদের কাছে না পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজে পাঠানো সংক্রান্ত বিএসইসির নির্দেশনা এক রিটের বিপরীতে স্থগিত করেছে উচ্চ আদালত। এর বিপরীতে সিকিউরিটজ হাউজগুলোর পক্ষ থেকে করা আপীলের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত মার্জিনধারীদের ক্যাশ ডিভিডেন্ড ব্রোকারেজ হাউজে পাঠানোর স্থগিতাদেশ বাতিল করেছেন।
আজ ১২ জুন রোববার উচ্চ আদালতে অনুষ্ঠিত শুনানি শেষে এ স্থগিতাদেশ বতিল করা হয়।
এতে মার্জিন ঋণধারীদের ক্যাশ ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে পাঠানোর জন্য আর কোন বাধা থাকলো না।
আজকের শুনানিতে সিকিউরিটিজ হাউজগুলোর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান ও মাহফুজুল ইসলাম মিলন। অন্যদিকে মার্জিন ঋণধারী বিনিয়োগকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও ব্যারিস্টার ফয়সাল আহমেদ পাটোয়ারী।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান বলেন, আপিল বিভাগে আজ যে রায় দেওয়া হয়েছে- তাই চূড়ান্ত। এর বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বার আপিল করার সুযোগ নেই।
এ প্রসঙ্গে বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, মার্জিন ঋণধারীদের ক্যাশ ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজে পাঠানোর নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ উচ্চ আদালত বাতিল করেছে। তবে এখনও আমাদের হাতে এ সম্পর্কিত কাগজপত্র আসেনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিনিয়োগকারীদের ভালোর জন্য এ নির্দেশনাটি দিয়েছিলাম। এ নির্দেশনার ফলে মার্জিন ঋণধারী বিনিয়োগকারীদের ঋণ কোন প্রকার জটিলতা ছাড়াই সমন্বয় করা সম্ভব হবে।
এর আগে, ফয়সাল আহমেদ পাটোয়ারী নামের একজন বিনিয়োগকারী মার্জিন ঋণধারী বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য ক্যাশ ডিভিডেন্ড সরাসরি তাদের কাছে না পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজে পাঠানো সংক্রান্ত বিএসইসির নির্দেশনার বিপরীতে রিট আবেদন করেছিল।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত বছরের ৯ জুন আলোচিত নির্দেশনাটি জারি করেছিল।
রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ মে বিচারপতি নাঈমা হোসেন এবং বিচারপতি রাজেক-আল-জলিলের আদালত বিএসইসির আলোচিত নির্দেশনাটি স্থগিত ঘোষণা করে।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ