আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ জুন ২০১৬, রবিবার |

kidarkar

মিউচুয়াল ফান্ডে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ছে

mutualfundশেয়ারবাজার ডেস্ক: প্রাতিষ্ঠানিক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগে ঝুঁকছে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে তালিকাভুক্ত ৩৩ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ৬০ শতাংশ বেড়েছে।

আইসিবি সিরিজের মিউচুয়াল ফান্ড এবং সদ্য অবসায়িত এইমস প্রথম ও গ্রামীণ ওয়ান স্কিম-১ মিউচুয়াল ফান্ড বাদে বাকি ৩৩টিতে গত বছরের জুন শেষে অভিহিত মূল্যে বিনিয়োগ ছিল ১ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। বর্তমানে তা ৬০ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১৩৬ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল গত বছরের জুনে ২৯ শতাংশ। এখন তা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৪৬ শতাংশ। দুই স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) থেকে তালিকাভুক্ত মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর মাসিক শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্যগুলোতে বাড়লেও আইসিবি তৃতীয় এনআরবি, আইএফআইএল ইসলামিক, ফিনিক্স ফাইন্যান্স প্রথম, প্রাইম ব্যাংক আইসিবি প্রথম এবং প্রথম প্রাইম ফাইন্যান্স মিউচুয়াল ফান্ডে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ফান্ডগুলোর আকারের তুলনায় পৌনে ৩ শতাংশ থেকে পৌনে ২৩ শতাংশ কমেছে।

বাকি ফান্ডগুলোতে বিনিয়োগ বেড়েছে ফান্ডগুলোর আকারের তুলনায় ১ শতাংশ থেকে সাড়ে ৪৭ শতাংশ। ফান্ডের আকার বিবেচনায় এ সময় সর্বাধিক সাড়ে ৪৭ শতাংশ বিনিয়োগ বেড়েছে এলআর গ্লোবাল প্রথম মিউচুয়াল ফান্ডে। গত বছরের জুনে ৩১১ কোটি টাকা আকারের এ ফান্ডটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল সোয়া ৩০ শতাংশ। বর্তমানে তা প্রায় ৭৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুয়িটি ম্যানেজমেন্ট নামক মিউচুয়াল ফান্ডের প্রায় ৯০ শতাংশ ইউনিট এখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের দখলে। এক বছর আগে ৫০ কোটি টাকা আকারে এ ফান্ডটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৪৯ শতাংশ। বর্তমানে ফান্ড আকারের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ইউনিট প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ধারণ করছে, এমন ফান্ড হলো- ভিএএমএল প্রথম এলআর গ্লোবাল প্রথম, এক্সিম ব্যাংক প্রথম, ইবিএল এনআরবি, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক প্রথম এবং এনসিসি ব্যাংক প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড।

ফান্ড আকারের ৫০ শতাংশের বেশি ইউনিট প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ধারণ করছেন এমন ফান্ড হলো- মার্কেন্টাইল ব্যাংক প্রথম, এবি ব্যাংক প্রথম, গ্রিনডেল্টা, সাউথইস্ট ব্যাংক প্রথম এবং এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড। এ ছাড়া আইসিবি প্রথম এনআরবি, আইসিবি এএমসিএল প্রথম এবং ইবিএল প্রথম মিউচুয়াল ফান্ডে গত বছরের জুনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল শূন্য। এখন তা যথাক্রমে সোয়া ২৮ শতাংশ, প্রায় ২২ শতাংশ এবং সাড়ে ২৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

মার্চেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টের সিইও খোন্দকার কায়েস বলেন, প্রতিটি ফান্ড ৫ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত বার্ষিক ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিচ্ছে। অথচ এসব ফান্ডের বাজারদর ৪ থেকে ৭ টাকার মধ্যে থাকায় স্বল্পমেয়াদে বিনিয়োগ থেকে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ডিভিডেন্ড পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া শেয়ারের তুলনায় এখন ফান্ডে বিনিয়োগ অনেকটাই ঝুঁকিহীন। এমন আকর্ষণীয় অবস্থার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করছে।

খোন্দকার কায়েস আরও বলেন, ফান্ডগুলোর বাজারদরের তুলনায় এনএভি আড়াই থেকে তিনগুণ। মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগই ২০১৯-২০ সালে অবসায়িত হবে। এ অবস্থায় বর্তমানে বাজারের অবস্থা ভালো না হলেও অবসায়ন প্রক্রিয়ায় ৩-৪ বছরে তিনগুণ মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ কারণেও অনেকে বিনিয়োগ করছেন। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির এক কর্মকর্তা জানান, মিউচুয়াল ফান্ডগুলোও একই কারণে একটি ফান্ড থেকে অন্য ফান্ডে বিনিয়োগ করছে। এ কারণেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.