ঘোষণা ছাড়াই শেয়ার বিক্রি করতে পারবে বিবিএসের প্লেসমেন্টধারীরা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রিতে পূর্বঘোষণা প্রয়োজন হলেও, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম লিমিটেডের (বিবিএস) প্লেসমেন্টধারীরা কোনো ঘোষণা ছাড়াই প্রায় ১ কোটি ৮৮ লাখ শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন বিবিএস প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) প্রসপেক্টাস প্রকাশের তিন বছর পূর্ণ হলো। একই সঙ্গে উদ্যোক্তা-পরিচালক ও আইপিও-পূর্ব প্লেসমেন্টধারীদের শেয়ার বিক্রয় বা হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার (লক ইন) মেয়াদ শেষ হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৪ জুন আইপিও প্রসপেক্টাস প্রকাশ করে বিবিএস। তখন উদ্যোক্তা-পরিচালক ও আইপিও-পূর্ববর্তী প্লেসমেন্টধারীদের হাতে কোম্পানির মোট ৩ কোটি ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪টি শেয়ার ছিল। এর মধ্যে প্লেসমেন্টধারী চার শেয়ারহোল্ডারের কাছে ছিল ১ কোটি ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৪টি শেয়ার, তালিকাভুক্তির পর তিন হিসাব বছরে কোম্পানির দেয়া বোনাস শেয়ার যোগ করে সংখ্যাটি প্রায় ১ কোটি ৮৮ লাখে উন্নীত হয়।
বিধি অনুযায়ী, শেয়ার বিক্রির আগে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের পূর্বঘোষণা দিতে হয়। কিন্তু প্লেসমেন্টধারীদের এই ১ কোটি ৮৮ লাখ শেয়ার বিক্রিতে কোনো পূর্বঘোষণা প্রয়োজন হবে না।
ডিএসইতে বৃহস্পতিবার সর্বশেষ ৪০ টাকায় বিবিএসের শেয়ার কেনাবেচা হয়, ১ জুন যা ছিল ৩৫ টাকার ঘরে। গত এক বছরে এ শেয়ারের সর্বনিম্ন দর ছিল ৩০ টাকা ৯০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৫৪ টাকা ৪০ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ২০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেয় কোম্পানিটি। বছর শেষে কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ২৪ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, আগের বছরে যা ছিল ২২ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। নিরীক্ষিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ২.৭৯ টাকা, শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৪.৭৮ টাকা। এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে ২.১০ টাকা ইপিএস দেখিয়েছে বিবিএস, এক বছর আগে যা ছিল ১.৭০ টাকা।
স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, ২০ টাকায় প্রতি দুটি শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার ইস্যুরও পরিকল্পনা আছে কোম্পানির, যা নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনক্রমে বাস্তবায়নযোগ্য। রাইট শেয়ার থেকে পাওয়া অর্থ প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সম্প্রসারণ, চলতি মূলধন জোগান ও বকেয়া ঋণ পরিশোধে ব্যয় করতে চায় তারা। উল্লেখ্য, ডিসেম্বরে কারখানার সংস্কার, আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ (বিএমআরই) কাজ সম্পন্ন করে বিবিএস। এতে তাদের উত্পাদন সক্ষমতা প্রায় এক-চতুর্থাংশ বাড়ে।
অক্টোবরে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানিটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘এ প্লাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-৩’। ২০১৩ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি মূলত শিল্প-কারখানা ভবনের প্রি-ইঞ্জিনিয়ার্ড ধাতব কাঠামোর ব্যবসা করে। বর্তমানে এর পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩১ দশমিক ৯৫ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ২৩ দশমিক ১২, বিদেশী বিনিয়োগকারী দশমিক ১৫ ও বাকি ৪৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ