এবার কার্গো পরিবহনে জার্মানির নিষেধাজ্ঞা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের পর এবার বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো বিমান পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জার্মানি।
বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ঘাটতির অজুহাত দেখিয়ে গত রোববার জার্মানির ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে বাংলাদেশি পণ্যবাহী কার্গো তৃতীয় কোনো দেশে স্ক্রিনিং হলে তা জার্মানি যেতে পারবে।
এ সিদ্ধান্তে রফতানিকারকরা উদ্বেগ জানালেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জার্মানির সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।
নিরাপত্তার সমস্যাটি জার্মানির উল্লেখ করে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। জানার পর এ বিষয়ে তাদের সুপারিশ বিবেচনায় নেব।’
প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইর সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির বলেন, জার্মানি বাংলাদেশি পণ্যের দ্বিতীয় প্রধান রফতানি বাজার। দেশটি থেকে ইউরোপের অন্যান্য দেশেও পোশাক যায়। এখন জার্মান সরকারের এ সিদ্ধান্তে পোশাক রফতানি সংকটে পড়বে।
বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া এবং এ বছরের মার্চে যুক্তরাজ্যের একই সিদ্ধান্তের কারণে দেশ দুটিতে রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর পরই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেয় সরকার। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্যের রেড লাইন সিকিউরিটি লিমিটেডকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিরাপত্তা খাতের সার্বিক উন্নতির ফলে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় দেশ হয়ে পণ্য যাচ্ছে যুক্তরাজ্যেও।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, জার্মানির একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দলের বুধবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে আসার কথা রয়েছে।
বিমানের এমডি মোসাদ্দেক আহমেদ বলেন, জার্মানির সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় সে দেশের সরকারের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ বিষয়ে জার্মানির কোনো চিঠি পাননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, চিঠি পাওয়ার পর এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ