আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৯ জুলাই ২০১৬, শনিবার |

kidarkar

১০ মিনিটের ১০ পরামর্শ, জীবন হবে আরো উন্নত

174517woman-thinking-holding-clipশেয়ারবাজার ডেস্ক: জীবন অনেক দ্রুত গতির হয়ে গেছে। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে মানুষকে যেকোনো কাজে খুব কম সময় প্রদান করছে। ২০১৪ সালে আমেরিকার কর্নারস্টোনের স্টেট অব ওয়ার্কপ্লেস প্রোডাক্টিভিটি রিপোর্টে বলা হয়, দুই-তৃতীয়াংশ কর্মী কর্মক্ষেত্রে ব্যাপক চাপ অনুভব করেন। এদের ৮৪ শতাংশ মনে করেন, এ চাপ দিন দিন বাড়ছে। বাস্তবতার নিরিখে বলা যায়, ইন্টারনেটে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অসংখ্য পরামর্শ রয়েছে। কিন্তু এগুলো পড়ার সময়ও আপনার হাতে নেই। কিংবা এগুলো জীবনে বাস্তবায়নের সময়-সুযোগও অনেক কম। মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে আরো উৎপাদনশীল হতে নিন বিশেষজ্ঞের ১০ পরামর্শ।

১. প্রোমোডরো টেকনিক : সময়ের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা দারুণ বৃদ্ধি করা যায়। এ ক্ষেত্রে সর্বাধিক কার্যকর কৌশলটি হলো প্রোমোডরো টেকনিক। এ পদ্ধতিতে প্রতিদিনের কাজকে ২৫ মিনিট অন্তর ভাগ করে নিতে হবে। এতে করে যেকোনো কাজে ব্যাপক মনোযোগ ঢেলে দেওয়া যায়।

২. গড় পারফরমেন্স উন্নত করুন : ড. স্টান বেচামের ‘ফিলোসপি অন এলিট মাইন্ডস’ ওয়েবসাইটে ৫ মিনিটের জন্যে ঘুরে আসুন। পরের ৫ মিনিট নিজের গড়তে উন্নতীকরণের চেষ্টা করুন। আমরা সব সময় আমাদের সেরা পারফরমেন্সটাকে আরো এগিয়ে নিতে চাই। কিন্তু গড় উন্নত করার কথা ভাবি না। এবার গড়টাকে এগিয়ে নিন।

৩. এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা যেভাবে করবেন : স্টাজেন লিডারশিপ একাডেমি সাপ্তাহিক পরিকল্পনা ও অ্যাপয়েনমেন্ট গোছাতে বেশ কার্যকর পরামর্শ দেয়। সপ্তাহের কোন কাজটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা সহজে বুঝে ওঠার কৌশল রয়েছে। এগুলো খুঁজে নিয়ে পরিকল্পনা প্রস্তুত করুন।

৪. মেডিটেশন করবেন যেভাবে : মাত্র ১০ মিনিটের মেডিটেশন জীবনের বাকিটা সময় সুন্দর করে দিতে পারে। মেডিটেশন আপনার মনটাকে শান্ত করে দিতে পারে। প্রতিদিনের জীবনের মানসিক জঞ্জাল সরিয়ে দেবে এই চর্চা। এতে উৎপাদনশীলতা বাড়বে। কর্ম ও সময়সূচি থেকে সটকে পড়তে না চাইলে মেডিটেনশ একমাত্র ওষুধ।

৫. মনে করার কৌশল : যদি মস্তিষ্কে কম্পিউটারের ফোল্ডারের মতো কিছু রাখতে পারেন, তবে স্মৃতিশক্তি কখনো নষ্ট হবে না। যদি ভুলে যান, তব এই ফোল্ডার তৈরি করে তা নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে। ফোল্ডার তৈরিতে প্রয়োজন মনোযোগ এবং মরে রাখা। যেকোনো বিষয় মনে রাখতে তা অতি যত্নে খেয়াল করুন।

৬. পড়ার গতি তিন গুন বৃদ্ধি করতে : অনেকে কাজ করতে করতেই বই পড়ে ফেলতে পারেন। প্রযুক্তির ব্যবহারে আরো গতিশীল হতে পারেন। অডিওবুক ব্যবহার করতে পারেন। একজন আপনাকে পড়ে শোনাচ্ছে। মাত্র ১০ মিনিটের মাথায় মস্তিষ্ক গল্প শুনতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।

৭. যেভাবে দায়িত্ব নেবেন : একটি প্রজেক্টে হঠাৎ বাজেট কেন বেড়ে যায়? সব ঠিক থাকার পরও দুর্ঘটনা কেন ঘটে যায়? ব্যবসাকে মসৃণ পথে পরিচালিত করার উপায় শিখুন। সমস্যা সহজে সমাধান করার চর্চা গড়ে তুলুন। দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি করুন। পালনে এগিয়ে যান।

৮. জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের সমন্বয় করা : অনেকের মতে, টু-ডু তালিকা কর্মজীবীদের বেশ উপকার করে। কিন্তু কর্মতালিকা যখন ব্যাপক আকার ধারণ করে তখন সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। জটিল কাজ ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের পার্থক্য করুন। এদের সমাধানে সময় ঠিক করে নিন। জটিল কাজগুলো হয়তো ব্যবসার উন্নতি করবে না। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো তা করে।

৯. আড়মোড়া ভাঙুন : কাজ করতে করতে কাঁধ, হাতের কবজি এবং হাতে জড়তা চলে আসে। আড়মোড়া ভাঙুন। আবারো সতেজ লাগবে। দ্রুত গতিতে কার্যকর আড়মোড়া ভাঙার কাজ শিখে নিন। এসব অতি সাধারণ ব্যায়াম আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে। মাত্র ১০ মিনিটেই শিখে নিতে পারেন। স্বাস্থ্য ও উৎপাদানশীলতার জন্যে অতি জরুরি বিষয়।

১০. সময় না দিতে পারলে করণীয় : এ সম্পর্কে জানতে হবে। একটা কাজের সময় ঠিক করলেন। কিন্তু সে সময় অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। তাহলে ওই কাজটা পরবর্তী সময়ে কিভাবে সম্পন্ন করবেন? এ বিষয়ে সফল হতে বা জটিলতা দূর করতে কাজকে ভেঙে ভাগ করে নিন। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

মেয়ারবাজারনিউজ/মা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.