আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৮ জুন ২০১৬, মঙ্গলবার |

kidarkar

ঋণ পুনঃতফসিলের খবরে দর বেড়েছে আজিজ পাইপসের

AZIZPIPESশেয়ারবাজার রিপোর্ট: ঋণ পুনঃতফসিলের খবরে প্রকৌশল খাতের আজিজ পাইপসকে ঘিরে আশা জেগেছে বিনিয়োগকারীদের। এর জেরে গত পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৩ শতাংশ বেড়েছে।

কিন্তু কোম্পানিটি এ তথ্য ডিএসই-কে জানিয়েছে শেয়ারদর বেড়ে যাওয়ার পর।

জানা যায়, ন্যাশনাল ব্যাংক আজিজ পাইপস থেকে ঋণ ও সুদ বাবদ মোট ২১ কোটি ২৯ লাখ টাকা পাবে। কিন্তু মন্দা ব্যবসার কারণে কোম্পানিটি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এ নিয়ে দুই কোম্পানির মধ্যে মামলা মোকাদ্দমাও হয়েছে।

তবে শেষ পর্যন্ত আজিজ পাইপসের পরিচালনা পর্ষদ অনেক দেনদরবার করে কোন শর্ত ছাড়া ঋণ পুনঃতফসিল করার জন্য ন্যাশনাল ব্যাংককে রাজি করাতে পেরেছে।

ন্যাশনাল ব্যাংক শেষ কিস্তি ৮৩ লাখ টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে ঋণ পুনঃতফসিল করতে সম্মত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোম্পানিটির মোট ১২ কোটি ৪৭ লাখ ৬১ হাজার ৫৫৩ টাকা সুদ ও অন্য চার্জ মওকুফ করে ঋণ পুনঃতফসিল করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক।

ঋণ পুনঃতফসিলের ফলে আজিজ পাইপসকে প্রতিমাসে ১৭ লাখ ১২ হাজার ৫৫৩ টাকা করে ৩৬ মাসে মোট ৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা ৫১ হাজার ৮৯৭ টাকা পরিশোধ করতে হবে। ঋণ পুনঃতফসিলের আগে ঋণ পরিশোধের মাসিক কিস্তি ছিল ৮৩ লাখ টাকা।

আর পনুঃতফসিলের ফলে সঞ্চিতি করে রাখা মাসিক কিস্তির ৮২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮৩ টাকা কোম্পানিটির হিসাবে সমন্বয় করা হবে। এতে কোম্পানিটির পুঞ্জিভুত লোকসান কমবে বলে আশা করছেন পরিচালনা পর্ষদ।

এদিকে ঋণ পুনঃতফসিলের খবরে কোম্পানিটির শেয়ারদর গত ২০ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত ৬.৭০ টাকা বা ১৩ শতাংশ বেড়েছে। যদিও আজ মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে। আজ কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৫৭.৩০ টাকা লেনদেন হয়েছে। গতকাল এ শেয়ারের সমাপনি মূল্য ছিল ৫৭.৯০ টাকা। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রথম তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.০৩০ টাকা।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ঋণটি পুন:তফসিলিকরণ করা হয়। তখন মোট দায় নির্ধারণ করা হয় ১৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। যা মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করার জন্য আজিজ পাইপ ও সাউথ ইস্ট ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা হয়।

এরপর ২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আজিজ পাইপস নিয়মিত ভাবে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধ করেছে। পরিশোধের মোট পরিমাণ ৯ কোটি টাকা। আর অবশিষ্ট ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা পরিশোধের মেয়াদ ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত রয়েছে।

ঋণ খেলাপির কারণে ২০০৭ সালে ডাচ বাংলা ব্যাংক নিম্ন আদালতে আজিজ পাইপের বিরুদ্ধে মামলা করে। ২০১২ সালে নিম্ন আদালত ডাচ বাংলা ব্যাংকের ১ কোটি ৫৪ লক্ষ্য টাকা পরিশোধের জন্য রায় প্রদান করে। আজিজ পাইপস টাকাটি পরিশোধ করতে গেলে ডাচ বাংলা ব্যাংক তা গ্রহণ না করে হাইকোর্টে আপিল করে। ঠিক একই অবস্থা উত্তরা ব্যাংকের ক্ষেত্রেও।

আজিজ পাইপসের উৎপাদিত পণ্যেও কাঁচামাল ১০০ শতাংশ আমদানি নির্ভর। কিন্তু ব্যাংকগুলোর সাথে ঋণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কাঁচামাল আমদানি করতে পাচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি। ফলে স্থানীয় বাজার থেকে কাচামাল ক্রয় করতে গিয়ে উৎপাদন খরচ বেশি পড়ে যাচ্ছে বলে বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.