ব্যাংকগুলোকে ডিএসই’র ডাটা সেন্টার ব্যবহারের প্রস্তাব
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বড় পরিসরে একটি ডাটা সেন্টার গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ডিএসই’র ডাটা সেন্টার ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ।
ডিএসই’র ডাটা সেন্টার তৈরি এবং এটি ব্যবহারের প্রস্তাব একটি যুগপোযুগী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ লিঃ (এবিবি)’ এর চেয়ারম্যান আনিস এ খান।
একটি গতিশীল, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক পুঁজিবাজার গঠনের লক্ষ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সাথে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে আজ ২৯ জুন ২০১৬ তারিখ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সংগঠন “অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ লিঃ” এর সম্মানিত চেয়ারম্যান আনিস এ খান এর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে আলোচিত প্রস্তাবটি দেয়া হয়।
ডিএসই’র চেয়ারম্যান বৈঠকের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ডিএসই পুজিবাজারকে আরও অধিক সক্ষমতা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে যাচ্ছে। এই অগ্রসরমান পুঁজিবাজারকে আরও বিকশিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার বিকল্প নেই। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের মাঝে পুঁজিবাজার নিয়ে যে ইতিবাচক ও নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে তা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। পুঁজিবাজারে ব্যাংকের প্রচুর বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এই মূহুর্তে বাজারকে সহায়তা দেয়ার জন্য ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরী। এক্সপোজার সমস্যা প্রায় সমাধান হয়ে গেছে এবং ব্যাংকের নতুন করে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পুঁজিবাজারের প্রসারের জন্য ব্যাংকগুলোর শাখা অফিস সমূহে মার্কেটিং বুথ স্থাপন করে স্টক এক্সচেঞ্জের পণ্যসমূহের তথ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে আমানতকারীগনের নিকট পুঁজিবাজারকে তুলে ধরা যেতে পারে। একটি দীর্ঘমেয়াদী গতিশীল বাজার গড়ে তুলতে পুঁজিবাজারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংগঠন এবিবি’র ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
এবিবি’র কর্মকর্তারা বলেন, বিগত দিনে ভাল মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির বাজার মূল্য কাক্সিক্ষত মূল্যে পৌছাচ্ছে না। অধিকাংশ ব্যাংকগুলো সব সময়ই ১০% বা তারও অধিক হারে লভ্যাংশ প্রদান করা সত্ত্বেও বাজার মূল্য নেট এসেট ভ্যালুর নীচে অবস্থান করছে। এই বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরী। পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি না আসার ব্যাপারে এবিবি’র কর্মকতারা বলেন, অনেক ধাপ অতিক্রম করে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর বছরের একদিন এজিএম’র দিন অনাকাঙ্খিত এমন সব পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হয়, এতে ভালো মৌলভিত্তি কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে নিরুৎসাহিত হয়। এছাড়াও তারা পুঁজিবাজারের যে কোন ধরনের নিয়মনীতিগুলো প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে আলোচনা করার অনুরোধ জানান। দেশে ব্যবসারত অতালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তর করার দাবী জানান। এছাড়াও সচেতনতামূলক কর্মসূচী, বিদেশী বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার জন্য রোড শো, পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ডিএসই’র প্রতিনিধি, ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধানদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন, বি.ও হিসাবের ফি হ্রাসকরণ, বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক প্রচারণা, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইপিও, পুঁজিবাজারে ট্রেজারী বন্ডের লেনদেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এবিবি’র প্রতিনিধিদলে ছিলেন, এবিবি’র চেয়ারম্যান ও এমটিবিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ. খান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংক লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সচিব ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মোঃ আলী, বোর্ড অব গভর্ণরের সদস্য ও পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবদুল হালিম চৌধুরী ও বোর্ড অব গভর্ণরের সদস্য ও সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদ হোসেইন। ডিএসই’র পক্ষে পরিচালক রুহুল আমিন, অধ্যাপক ড. এম কায়কোবাদ, মোঃ শাকিল রিজভী, খাজা গোলাম রসূল, মোহাম্মদ শাহজাহান, ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন পাটওয়ারী, মহা ব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিব শেখ মোহাম্মদউল্লাহ, উপমহাব্যবস্থাপক মো: শফিকুর রহমান, মার্কেট ডেভেলপমেন্ট নিজাম উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ