পুনঃঅর্থায়ন ফান্ডের সুদহার কমছে
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের পুজিবাজারে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য গঠিত বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা তহবিলের সুদহার কমানো হয়েছে। কমানোর পর বিনিয়োগকারীদের ৭.৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। এর আগে এ সুদের পরিমান ছিল ৯ শতাংশ। এর পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের মেয়াদও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার তদারকি কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা তহবিল থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশের পরিবর্তে ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার সুপারিশ করে তদারকি কমিটি। একই সঙ্গে তহবিলটির মেয়াদ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এক চিঠির মাধ্যমে তদারকি কমিটির প্রস্তাবে সম্মতি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে তদারকি কমিটির আহ্বায়ক সাইফুর রহমান জানান, ‘আমরা এক শতাংশ সুদহার কমানোর সুপারিশ করেছিলাম। তবে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ায় সুদহার দেড় শতাংশ কমিয়েছে। এছাড়া ঋণ গ্রহণের আবেদনের সময়সীমা আরো তিন মাস বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তহবিলটির মেয়াদ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে’।
এদিকে সার্বিকভাবে সুদ কমলেও সরকারের নেয়া সুদ অপরিবর্তিত থাকছে। বর্তমানে ৯ শতাংশ সুদের মধ্যে সরকার ৫ শতাংশ, সার্ভিস চার্জ বাবদ আইসিবি ২ শতাংশ এবং সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজ ২ শতাংশ হারে সুদ পায়। এখন পরিবর্তিত হারে আইসিবির সার্ভিস চার্জ ২ শতাংশ থেকে কমে ১ শতাংশ ও মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজ ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে দেড় শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। পরিবর্তিত এ সুদহার নতুন ঋণের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।
সরকারি ঘোষণার প্রায় দুই বছর পর ৯০০ কোটি টাকার পুনঃবিনিয়োগ তহবিল গঠনের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে ২০১৩ সালের ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃবিনিয়োগ তহবিলের প্রথম কিস্তি বাবদ ৩০০ কোটি টাকা দেয় আইসিবিকে। এ সময় ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু ঋণের কঠিন শর্তের কারণে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার ডিলার প্রতিষ্ঠানগুলো ওই তহবিল থেকে ঋণ নিতে আগ্রহী হয়নি। এখন আবার মার্চেন্ট ব্যাংকের নেওয়া সুদহার কমানোর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলা ঋণ প্রদান ও গ্রহণে আবারো অনাগ্রহী হতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি আড়াই বছর পার হলেও বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহে সরকার গঠিত তহবিলের ৩০ শতাংশই অব্যবহৃত রয়ে গেছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/ওহ