আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ জুলাই ২০১৬, মঙ্গলবার |

kidarkar

এক-তৃতীয়াংশে নেমেছে রাইট ইস্যু

DSE_BSECশেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের শেয়ারবাজারে রিপিট পাবলিক অফারিংয়ের পরিমান এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে যেখানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রাইট ইস্যুর মাধ্যেমে মোট উত্তোলন করা হয়েছিল ১৪৪৫ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯০ টাকা, সেখানে পরের বছর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা কমে ৩১৩ কোটি ৪৮ লাখ ২৬ হাজার ৯৯০ টাকায় এসে নেমেছে।

ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-২৫ অর্থবছরে ডিএসই’তে ডেল্টা স্পিনার্স, মাইডাস ফাইন্যান্স, বিআইএফসি, আইসিবি ও ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামি ব্যাংক রাইট ইস্যু’র মাধ্যেমে মূলধন উত্তোলন করে। এর পরের বছর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাইট ইস্যু করে শুধুমাত্র সামিট পোর্ট অ্যালায়েন্স ও জিপিএইচ ইস্পাত।

পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত তিন অর্থবছরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যেমে মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন দেয় মোট ৫৫টি কোম্পানিকে। এর মধ্যে চলতি বছরের আগের তিন বছরে নিয়মিত বিরতিতে ১৬-১৭টি কোম্পানি প্রতি বছরে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উল্টো চিত্র রাইট ইস্যুর ক্ষেত্রে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অনেকেই রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যেমে মূলধন উত্তোলনের অনুমতি চাইলেও অনুমোদন করা হয় গুটিকয়েক কোম্পানির। যা ক্রমান্বয়ে আরো কমছে।

সাধারন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অভিযোগ রয়েছে, রাইট শেয়ার ইস্যুর অযুহাতে বেশকিছু কোম্পানি বাজারে কোম্পানির শেয়ারদর প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে অভিযোগ ও রাইট ইস্যুর পরবর্তি সময়ে কোম্পানির ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন না অাসার কারনে রাইট ইস্যু করার ক্ষেত্রে সর্তক পদক্ষেপ নিচ্ছে বিএসইসি। অ্ন্যদিকে, রাইট শেয়ার ইস্যু’র পর অধিকাংশ কোম্পানির আয়ে বড় ধরনের কোনো উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি। এমনকি কিছু কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয়ও রাইট ইস্যুর পর কমেছে।

ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ডেল্টা স্পিনার্স ৯১ কোটি ৭২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, মা্ইডাস ফাইন্যান্স ৬০ কোটি ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮০ টাকা, ৩৩ কোটি ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮১০ টাকা, আইসিবি ১০৫৪ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামি ব্যাংক ২০৫ কোটি ৭১ লাখ ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা উত্তোলন করে। এর পরের অর্থবছরে সামিট পোর্ট অ্যালায়েন্স ৫১ কোটি ৫২ লাখ ৮৬ হাজার ৯৯০ টাকা ও জিপিএইচ ইস্পাত ২৬১ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করে। এর মধ্যে আইসিবি শেয়ারপ্রতি ৪০০ টাকা, সামিট পোর্ট অ্যালায়েন্স ৫ টাকা ও জিপিএইচ ইস্পাত ৪ টাকা প্রিমিয়ামসহ মূলধন উত্তোলন করে।

শেয়ারবাজারনিউজ/ওহ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.